সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশদ্রোহিতার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড়সড় স্বস্তি পেলেন সাংবাদিক বিনোদ দুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালত এই মামলার শুনানিতে ১৯৬২ সালের একটি নির্দেশিকার উল্লেখ করে জানায়, দেশদ্রোহিতার মতো মামলায় প্রত্যেক সাংবাদিকের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা, গত বছর দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে হিমাচল প্রদেশে দেশদ্রোহিতার মামলা করেন এক বিজেপি নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়ানো, মানহানি করা, পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিনোদ। হেনস্থার পালটা অভিযোগ তুলে চরম শাস্তির দাবিও জানান। সেই মামলার শুনানিতেই বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: ভেগান মিল্ক ‘বিদেশিদের ষড়যন্ত্র’, PETA’র বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ আমুল]
বিনোদ আরও আবেদন করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট যেন নির্দেশ দেয়, ১০ বছর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কারও বিরুদ্ধে হাই কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বাধীন প্যানেলের অনুমতি ছাড়া কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ করেছে আদালত। বিচারপতি ইউইউ ললিত ও বিচারপতি বিনীত সরনের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই ধরনের নির্দেশ দিলে আইন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। তবে এরপরই এই মামলার শুনানিতে ১৯৬২ সালে দেশদ্রোহিতার মামলায় বিচারপতি কেদার নাথ সিংয়ের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তাঁরা বলেন, প্রত্যেক সাংবাদিকের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ১৯৬২ সালের ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা করার মানে হল সরকারের উন্নতির পথ দেখানো। এতে আইন ভাঙা হয় না। সেই নির্দেশের কথাই উল্লেখ করেছেন বিচারপতিরা।