shono
Advertisement

দিল্লির নৃশংস খুনের নেপথ্যে ‘লাভ জিহাদ’! মেয়ের খুনি আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি শ্রদ্ধার বাবার

পুলিশি তদন্তে আস্থা প্রকাশ শ্রদ্ধার বাবার।
Posted: 02:55 PM Nov 15, 2022Updated: 04:50 PM Nov 15, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walker) খুনের ঘটনায় প্রেমিক আফতাবের (Aftab Amin Poonawalla) ধর্ম পরিচয় নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলছিল নেটিজেনরা। আফতাবের পদবির (পুণাওয়ালা) কারণে অবশ্য এই বিষয়ে ধন্দ তৈরি হচ্ছিল। তিনি পারসি না মুসলমি, প্রশ্ন উঠছিল। যদিও মঙ্গলবার মেয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সরাসরি ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) প্রসঙ্গ তুললেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার। উল্লেখ্য, দিল্লি শহরের এই হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder Case) বর্বরতায় গোটা দেশে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সকলেই নৃশংস খুনির চরম শাস্তির দাবি করেছেন। এদিন আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেন শ্রদ্ধার বাবাও।

Advertisement

শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে লিভ-ইন পার্টনার আফতাব। এরপর দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল। ১৮ দিন ধরে এই কাজ করে। শ্রদ্ধার অপরাধ ছিল প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া। অথচ আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে চলে আসেন দিল্লিতে। দু’জনের আলাপ হয়েছিল কল সেন্টারের চাকরি সূত্রে। যদিও বিধর্মীর প্রেমে পড়া পছন্দ ছিল না শ্রদ্ধার পরিবারের। এমন অবস্থায় লিভ-ইন করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রদ্ধা-আফতাব। তাঁরা দিল্লির মেহেরৌলিতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছিলেন।

[আরও পড়ুন: বিমানের ভিতরেই ‘সমুদ্র গর্জন’! HIV পজিটিভ শিশুদের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নপূরণ জগন্নাথধামে]

গত ১৮ মে আফাতাব-শ্রদ্ধার মধ্যে বচসা হয়। এক সময় রাগের বশে শ্রদ্ধাকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে আফতাব। প্রেমিকার দেহ কেটে ৩৫ টুকরো করে সে। দেহাংশের পচন এড়াতে নতুন ফ্রিজ কেনে। সেখানে শ্রদ্ধার দেহাংশগুলি ঢুকিয়ে রাখে। পরবর্তী ১৮ দিন রাত ২টো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে শ্রদ্ধার দেহাংশ ফেলতে যেত আফতাব। এদিকে গত ১০ নভেম্বর মেয়ের হদিস না পেয়ে মুম্বই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন শ্রদ্ধার বাবা। মুম্বই পুলিশ এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশকে জানায়। এরপর 

[আরও পড়ুন: প্রার্থী-ক্ষোভের আগুন গুজরাট কংগ্রেসে, প্রদেশ দপ্তরে ভাঙচুর চালাল একদল কর্মী]

মঙ্গলবার শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার খুনের নেপথ্যে ‘লাভ জিহাদ’ থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার সন্দেহ লাভ জিহাদ হয়ে থাকতে পারে।’’ পাশাপাশি ভয়ংকর হত্যায় অভিযুক্ত আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পুলিশি তদন্তে আস্থা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “পুলিশের প্রতি আস্থা আছে। তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে।” আরও বলেন, “শ্রদ্ধা ওর কাকার কাছের ছিল। আমার সঙ্গে কম কথা বলত। আফতাবের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না আমার।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement