সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজও অধরা ডি কোম্পানির বেতাজ বাদশা দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) মোটা অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করলেও সন্ধান মেলেনি তার। তবে মনে করা হয়, পাকিস্তানেই রয়েছে মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান চক্রী। মঙ্গলবার এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্পষ্টতই তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেল পাক তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ প্রধান মহসিন বাটকে। কেবল দাউদ নয়, ২৬/১১ মুম্বই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হাফিজ সঈদকে নিয়ে প্রশ্নও একই ভাবে এড়িয়ে গেলেন তিনি।
নয়াদিল্লিতে বসেছে ইন্টারপোলের ৯০তম সাধারণ সভা। সেখানেই মহসিন-সহ দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছে পাকিস্তান থেকে। কিন্তু দাউদ-হাফিজ সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়তে হল এফআইএ শীর্ষ ব্যক্তিত্বকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যান তিনি। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কি দাউদ বা সঈদকে ভারতের হাতে তুলে দেবেন। একথা শুনে স্পষ্টতই নির্বাক হয়ে যান মহসিন। ঠোঁটে আঙুল ঠেকিয়ে চুপ থাকার ইঙ্গিত করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কারও চাকরি বাতিল নয়! প্রাথমিকে ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের]
এফএটিএফের ‘ধূসর তালিকা’ থেকে বেরতে মরিয়া পাকিস্তান। ২১ অক্টোবর প্যারিসে বৈঠকে বসছে সন্ত্রাসবাদের উপর নজরদারি সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)। সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, এই বৈঠকেই শাপমুক্তি হতে পারে ইসলামাবাদের। বারবার নিজেদের জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠার অভিযোগকে অস্বীকার করে এই তালিকা থেকে বেরতে চেয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু এদিন নয়াদিল্লিতে এফআইএ প্রধানের প্রতিক্রিয়া অনেক প্রশ্ন তুলে দিল।
উল্লেখ্য, ১৯৫টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন ইন্টারপোলের এই বার্ষিক সভায়। এই দেশগুলির মন্ত্রী, পুলিশ কর্তারা এসেছেন নয়াদিল্লিতে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সভা চলবে। বৈঠকে ইন্টারপোলের কাজকর্ম পর্যালোচনা হয়। পাশাপাশি বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এখন দেখার, বৈঠকে ভারত পাকিস্তানের উপরে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠার অভিযোগ তুলে চাপ বাড়ায় কি না।