সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh)।বয়স হয়েছিল ৯২। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বয়সজনিত অসুখে ভুগছিলেন মনমোহন। এদিন বাড়িতেই আচমকা অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে দ্রুত এইমসের আপৎকালীন চিকিৎসা বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে জানিয়ে দেওয়া হয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
এদিন তাঁর হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়েই দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাও। তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়ে এক্স হ্যান্ডলে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৯১ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সদস্য হন মনমোহন সিং। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী। উদার অর্থনীতিকরণের মুখ্য রূপকার বলা হয় তাঁকে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করার পরে ২০০৪ সালে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৯ সালেও তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। পরপর দুবার, সব মিলিয়ে ১০ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন।
‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ হিসেবেই এদেশের রাজনীতিতে মনমোহনের অন্যতম পরিচয়। বিরোধীরা সেই সময় কটাক্ষ করতে থাকেন, মনমোহন স্রেফ ‘ছায়া’। ১০ জনপথের বাসিন্দা সোনিয়াই ‘সুপার পিএম’। তবে এও বলা হয়, সেই বিরোধিতা তেমন পোক্ত ছিল না। থাকলে ২০০৯ সালে আবারও ক্ষমতায় কি ফিরতে পারত কংগ্রেস?
এক দশক দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর অবদান ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হয়। সেই সময়ই ভারত বিশ্বায়নের পথে প্রথম পা ফেলে। আমূল বদলে যায় দেশের অর্থনীতির চেহারা। সেই কারণে তাঁকে 'ভারতের বিশ্বায়নের মুখ' বলা হয়।