সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২০ বছর ধরে পুলিশের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' লিস্টে ছিলেন। দিনের পর দিন তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তদন্তকারীদের। অবশেষে মিলল সাফল্য। পুলিশের হিট লিস্টে থাকা শীর্ষ মাওবাদী নেতা 'কমরেড' বিক্রম গৌড়াকে খতম করল কর্নাটক পুলিশ। সোমবার কর্নাটকের উদুপিতে কাবিনেল জঙ্গলে মাও বিরোধী অভিযান চলাকালীন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, উদুপি পুলিশের কাছে গোপন খবর আসে ৫ জন মাওবাদী হেবরি তালুকের কাছে এক দোকানে জিনিসপত্র কিনছে। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয় অ্যান্টি নকশাল ফোর্সের সঙ্গে। এর পরই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে কাবিনেল জঙ্গলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। দীর্ঘক্ষণ দু'পক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর এক মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, নিহত এই মাওবাদী বিক্রম গৌড়া। গত ২০ বছর ধরে তাঁর সন্ধান করছিল পুলিশ।
কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, 'এই বিক্রম গৌড়া রাজ্যে মাওবাদীদের অন্যতম বড় মুখ। গত কয়েক দশক ধরে তাঁর সন্ধান চালাচ্ছিল পুলিশ। অভিযান চলাকালীন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিক্রম। পালটা জবাবে মৃত্যু হয়েছে এই মাওবাদী নেতার।' দীর্ঘ বছর পর বিক্রমের মতো শীর্ষ মাওবাদী নেতার মৃত্যু নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য বড় সাফল্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বাকি ২ থেকে ৩ জন মাওবাদী গভীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
হেবরি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মহেশ টি এম জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া ওই দেহ যে শীর্ষ মাওবাদী নেতা বিক্রমের সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। হেবরি তালুকের নাদরালুর কুদলু গ্রামের বাসিন্দা মাওবাদী নেতা বিক্রম গৌড়া ২০ বছর ধরে পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে অভিযান চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে তাঁর।