সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় এক স্থান নেমে গেলেন গৌতম আদানি (Goutam Adani)। মাত্র কয়েকদিন আগেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন তিনি। অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজসকে টপকে গিয়েছিলেন। এবার বেজোস তাঁকে ফের পিছনে ফেলে ব্লুমবার্গ বিলেনিয়ার্স ইনডেক্সে উঠে এলেন দ্বিতীয় স্থানে। আদানি নেমে গেলেন তিনে। আরেক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ছিটকে গিয়েছেন প্রথম দশ থেকে। রিলায়েন্স কর্তা রয়েছেন ১১ নম্বরে।
ব্লুমবার্গের হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১০.৯৮ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁর থেকে সামান্যই এগিয়ে থাকা বেজোসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১.২৩ লক্ষ কোটি টাকা। গতবারের তুলনায় আদানি যেখানে খুইয়েছেন ৬.৯ বিলিয়ন ডলার, সেখানে বেজোসের সম্পত্তি বেড়েছে ১.৩৬ বিলিয়ন ডলার।
[আরও পড়ুন: ফের দেশজুড়ে পিএফআই ডেরায় হানা দিল NIA, আটক শাহিনবাগের নেত্রী, ধৃত অন্তত ২৫০]
এদিকে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮২.৪ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে ৬.৭০ লক্ষ কোটি টাকা। তিনি রয়েছেন এগারো নম্বরে। তবে ফোর্বস রিয়েল টাইম বিলেনিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী অবশ্য বিশ্বের সেরা ১০ ধনীর তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছেন তিনি। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমা তাঁর থেকে কেড়ে নিয়েছেন আদানি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই লাগাতার ভাবে বেড়েছে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। ফেব্রুয়ারি মাসেই মুকেশ আম্বানিকে টপকে ভারতের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন গৌতম আদানি। রূপকথার উত্থানের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম নিয়েছে এক আশঙ্কাও। ব্যবসা বৃদ্ধির অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ঋণ-নির্ভর হতে গিয়ে কি আগামিদিনের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন আদানি? ফিচ গোষ্ঠীর সংস্থা ক্রেডিট সাইটসের রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, যে ঋণের বোঝা ঘিরে এত কথা, সেই বোঝা এখন অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছে তারা। ১৫ পাতার রিপোর্টে সংস্থার তরফে জানানো হয়, ধারাবাহিক ভাবে ঋণকে ডি-লিভার করছে আদানি গ্রুপ। গত ৯ বছরে নিট ঋণের Ebitda অনুপাত ৭.৬ গুণ থেকে কমে ৩.২ গুণ হয়েছে।