সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমকামী যুগলরা যাতে তাঁদের মৌলিক সামাজিক অধিকার পান সেই বিষয়টা নিশ্চিত করার পথ বের করতে হবে সরকারকে। সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলায় এদিন এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। উদাহরণ হিসেবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা কিংবা সমকামী সঙ্গীকে বিমার নমিনি করার মতো বিষয়ের উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত।
সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস কে কাউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চে। বৃহস্পতিবারও ছিল শুনানি। মামলার ষষ্ঠ দিন প্রধান বিচারপতি পরিষ্কার করে দেন, দু’জন মানুষের বিয়ের চেয়েও তাঁদের যৌনতা থেকে সহবাসের অধিকারের দিকে বেশি ঝোঁক রয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের।
[আরও পড়ুন: সিপিএমের তহবিলে দান, ডাক বিভাগে বাম সংগঠনের স্বীকৃতিই বাতিল]
কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আগেই জানিয়েছিলেন, ভালবাসার অধিকার, সহবাসের অধিকার, নিজের পছন্দের সঙ্গীকে বেছে নেওয়া ও যৌন বাছাইয়ের অধিকার মৌলিক অধিকার। কিন্তু সেই সম্পর্ককে বিয়ে অথবা অন্য কোনও নাম দেওয়াটা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া বিচারপতি নরসিমা বলেন, স্বীকৃতি বলতে বিয়ের স্বীকৃতি নয়, তাঁরা চাইছেন সমকামী জুটিরা যেন প্রাপ্য সুযোগসুবিধা পান।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, ”এখন কী? সরকার সমকামী সম্পর্ক নিয়ে কী করতে চায়? এই ধরনের সম্পর্ক যাতে বিচ্ছিন্ন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তা ও সামাজিক কল্যাণের দিকটি কি নিশ্চিত করা যায়?” প্রসঙ্গত, সমলিঙ্গ বিবাহ (Same-Gender Marriages) ভারতের সামাজিক নৈতিকতার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) এমন হলফনামা দিয়ে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ।