সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিএসটি অর্থাৎ পণ্য ও পরিষেবা করকে এবার প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) অর্থাৎ আর্থিক প্রতারণা আইনের আওতায় আনল কেন্দ্র। এই আইনের অধীনেই করফাঁকি, দুর্নীতি, আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার তদন্ত হয়। নয়া পদক্ষেপ দুর্নীতি রুখতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে বলা দাবি অর্থমন্ত্রকের।
শনিবার কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এবার জিএসটিকে (GST) প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে। এর ফলে জিএসটি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করতে সুবিধা হবে৷ অর্থাৎ ইডি (ED) বা আর্থিক প্রতারণার তদন্তে নিযুক্ত অন্য কোনও সংস্থা চাইলে যে কোনও ব্যক্তির জিএসটি তথ্য হাতে পেয়ে যাবে। আবার কোনও ব্যক্তি জিএসটি বা করফাঁকির চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করতে পারবে ইডি।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ক্ষোভকে লোকসভায় কাজে লাগান! বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর]
কেন্দ্র মনে করছে এই দ্বিমুখী হাতিয়ার আর্থিক দুর্নীতিতে অনেকটাই লাগাম পরাতে সক্ষম। এর ফলে জিএসটি সংগ্রহের অনিয়মগুলিও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। কারণ, ইডি এখন থেকে অর্থ পাচারের মতোই জিএসটি সংক্রান্ত যাবতীয় অপরাধের তদন্ত করতে পারবে। এছাড়াও, জিএসটির অধীনে যে সমস্ত অপরাধ হয়, যেমন জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট, জাল চালান-সহ নানারকম অপরাধ এখন থেকে পিএমএলএ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘এমনটা ভাবাও ভুল’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি মোদির ‘বন্ধু’ আজাদের]
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, অনেক সময়ই দেখা যায় জিএসটির তথ্য ইডির হাতে না থাকায় বড় কোনও কেলেঙ্কারি বা আর্থিক প্রতারণার তদন্ত বিলম্বিত হয়। সেটাও এবার বন্ধ করা যাবে।