ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দেশে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কত? কতজন কার্ডিওলজিস্ট? পেডিয়াট্রিক সার্জন কত? এমন বিভিন্ন রোগ বিশেষজ্ঞর কোনও তথ্য ভাণ্ডার কি আছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে? উত্তর, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সংখ্যা জানা নেই। এক প্রশ্নের উত্তরে সংসদেই এ কথা মেনে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল।

কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিটি ফ্যাকাল্টির কতজন সরকারি আর কতজন বেসরকারি, সব তথ্য সরকারের কাছে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আচমকা কোনও সমস্যা তৈরি হলে কেন্দ্র এই তথ্য সংগ্রহ করে রোগের মোকাবিলা করতে পারবে। চণ্ডীগড় থেকে নির্বাচিত বিজেপি–র রাজ্যসভা সদস্য সৎনাম সিং সান্ধুর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, "দেশে ১৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৫০ জন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক আছে। এই তথ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) থেকে পাওয়া। কিন্তু কোন শাখার কতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন, সে তথ্য জানাতে পারেনি।
এমনকী, মোট কত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন অ্যালোপ্যাথিতে, এনএমসি না–জানানোয় সে কথাও জানাতে পারেননি মন্ত্রী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সে তথ্য নেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছেও। কিন্তু এমনটা তো হওয়ার ছিল না! সব তথ্য এনএমসি–র কাছে মজুত না থাকলেও, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের থেকে তথ্য নিয়ে তা সংকলন করলেই এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেত। তবে স্বাস্থ্য মহলের অনেকে আবার মনে করছেন, এই তথ্য সংকলন করতে গেলে যে সময় প্রয়োজন ছিল, তা মেলেনি। তার আগেই সংসদের অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় সেই সময়টুকু এনএমসি পায়নি বলেই সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।
ওই বিজেপি সাংসদ প্রশ্ন করেছিলেন, গত পাঁচ বছরে স্নাতক পর্যায়ে কতগুলি করে এমবিবিএস মেডিক্যাল কলেজ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কতগুলি করে এমডি–এমএস আসন বেড়েছে দেশে? এর উত্তরে অনুপ্রিয়া এনএমসি–কে উদ্ধৃত করে জানান, ২০২০–২০২১ থেকে ২০২৪–২০২৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত যথাক্রমে ১৯টি, ৪৮টি, ৫৫টি, ৪৫টি ও ৭৪টি মেডিক্যাল কলেজ বেড়েছে দেশে। আর ওই সময়কালেই স্নাতকোত্তর আসন বেড়েছে যথাক্রমে ৪,৯৮৩টি, ৪,৭০৫টি, ২,৮৭৪টি, ৪,৭১৩টি ও ৪,১৮৬টি। মন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি সারা দেশে এখন ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৭৬৮ জন আয়ুষ চিকিৎসক রোগী দেখেন নিয়ম করে।