সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধিতা যতই আসুক বিকেন্দ্রিকরণের পথ থেকে সরবে না কেন্দ্র। বাজেটে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে যে বিপুল পরিমাণ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল, তা অর্জন করতে একপ্রকার মরিয়া কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে এবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের রিয়েল এস্টেট সম্পত্তিও বিক্রি করতে চলেছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপত্তি আসছে ওই দুই সংস্থার কর্মীদের তরফে।
শনিবার কেন্দ্রের লগ্নি এবং সরকারি সম্পদ পরিচালনা দপ্তর (DIPAM) জানিয়েছে, ৬ জায়গায় BSNL এবং MTNL সংস্থা দু’টির সম্পত্তি বিক্রির জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে। এই সম্পত্তিগুলির ন্যূনতম দর ধরা হয়েছে ৯৭০ কোটি টাকা। সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতা, হায়দরাবাদ, চণ্ডিগড় ও ভাবনগরে বিএসএনএলের বেশ কিছু রিয়েল এস্টেট সম্পত্তির দরপত্র চাওয়া হয়েছে। সব সম্পত্তির ন্যূনতম মোট দর ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। এমটিএনএলের ক্ষেত্রে তা ৩১০ কোটি। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক অফিস এবং ফ্ল্যাট। BSNL সূত্রের খবর, এই পর্যায়ে এই সম্পত্তিগুলি দেড় বছরের মধ্যে বেচে ফেলার লক্ষ্য রয়েছে তাঁদের। সব মিলিয়ে কেন্দ্র প্রায় ৯৭০ কোটি টাকা এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে তুলতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো মানেই অসম্মান করা নয়, মন্তব্য মুম্বইয়ের আদালতের]
স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্তে চরম আপত্তি জানিয়েছেন সংস্থাগুলির কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থাগুলি যেখানে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিষেবার উন্নতি করছে। সেখানে কেন্দ্র বিএসএনএলের সম্পত্তি বেচে দিয়ে সংস্থাকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন নামের একটি কর্মী সংগঠন।
[আরও পড়ুন: ‘এখানে একটা মারলে ওখানে পাঁচটা মারব’, ত্রিপুরায় গিয়ে বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারি ফিরহাদ হাকিমের]
আসলে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে বেসরকারিকরণে (Privatisation) গতি আনতে চায় কেন্দ্র। চলতি বছরের বাজেটে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সেই বিপুল লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যাওয়া সম্ভব হয়নি চলতি অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে। তাই দ্বিতীয়ার্ধে আরও অন্তত গোটা ৫-৬ সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণকে টার্গেট করেছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে বিএসএনএল এবং এমটিএনএলও।