সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের নামে জেহাদ কি মানুষের প্রাণ নিতে প্ররোচিত করে? বিশেষত অন্য ধর্মের মানুষকে হত্যা করা কি কোনও ধর্মের উদ্দেশ্য হতে পারে? অমরনাথে নিরীহ পূণ্যার্থীদের উপর নক্ক্যারজনক হামলার পর থেকেই উঠছিল প্রশ্নগুলি। আর তা মুছে দিয়ে খোদ গুজরাটের আমেদাবাদেই এ নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হলেন মুসলিমরা।
[ এই মুসলিম চালকের জন্যই প্রাণে বাঁচলেন অমরনাথ যাত্রীরা ]
সারা দেশেই নানা ঘটনায় ধর্মীয় বিভাজনের প্রসঙ্গ উঠছে। কখনও গো-রক্ষার নামে কিশোর হত্যার ঘটনা কখনও বা জঙ্গি হানা। দুই-ই নক্ক্যারজনক ঘটনা। তবে দুই মেরুতে থেকে যাচ্ছে ধর্ম। আর তা নিয়েই চলছে দেদার দড়ি টানাটানি খেলা। তবে ভারতীয় ঐতিহ্য এই বিভাজনকে যে সমর্থন করে না, তার প্রমাণ বরাবরই মেলে। এবারও তা মিলছে। যখনই দেশে কোথাও দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তখন হিন্দুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মুসলিমরা। কোথাও কোনও বিভাজনের উসকানি হলে একে অপরের হাত ধরে একতার পরিচয় দিয়েছেন সকলে। কিন্তু সেই ছবিও কখনও কলঙ্কিত হয় অমরনাথ হামলার মতো ঘটনায়। মুসলিম মৌলবাদ ও সন্ত্রাস যে মানুষকে কবজা করে রাখতে উদ্ধত সে প্রমাণই আবার পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সকলেই এক হন না। আর তাই গুজরাটে- যেখানে নিহত দর্শনার্থীর সংখ্যা সবথেকে বেশি- সেখানে মুসলিমরাই এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করলেন। পাকিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগানে সোচ্চার হলেন তাঁরা।
[ ‘হিন্দু বলেই মৃত্যু অমরনাথ যাত্রীদের, কেন এ কথা বলা হচ্ছে না?’ ]
এদিকে সেলিম নামে এক মুসলমান চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতেই প্রাণে বাঁচেন অন্তত জনা পঞ্চাশেক পূণ্যার্থী। গুলি চলতে দেখেও তিনি গাড়ি থামাননি। এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সাতজন প্রাণ হারালেও বেশিরভাগ দর্শনার্থীই এই কারণে বেঁচে জান। রক্তাক্ত অমরনাথে এ যেমন এক সম্প্রীতির ছবি, তেমনই মুসলিমদের প্রতিবাদও তুলে ধরল দেশের অক্ষুণ্ণ একতাকে।