সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে ভোটপ্রচারে এসে সীমান্ত সুরক্ষা, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অমিত শাহর একের পর এক কড়া মন্তব্যের পরই পালটা বিস্ফোরণ ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এ বিষয়ে বিজেপির 'দ্বিচারিতা'কে চিহ্নিত করতে চাইলেন তিনি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যকরী সভাপতি পালটা প্রশ্ন তুললেন, বাংলাদেশের গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে কেন নিরাপদ আশ্রয় দিল দিল্লি? তবে কি বাংলাদেশের সঙ্গে কেন্দ্রের গোপন চুক্তি আছে? রবিবার ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া বিধানসভার কেন্দ্রের রাঁকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। তার কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাঁচিতে প্রচার করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ঝাড়খণ্ড সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন। তারই জবাব দিতে গিয়ে পালটা হাসিনার প্রসঙ্গ তুললেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১৩ তারিখ ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। তার আগে প্রচার তুঙ্গে। রবিবার গাড়োয়া রাঁকায় প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া প্রশ্নবাণ ছুড়লেন হেমন্ত সোরেন। তাঁর বক্তব্য, ''মোদি তো শপথ নেওয়ার সময় সংবিধানের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। তাতে ছিল যে প্রত্যেক জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সব সমস্যা সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এখন আমি তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে কি আলাদা করে কোনও চুক্তি আছে? নইলে সেখানকার অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে যখন শেখ হাসিনার বিমানকে এখানে নামতে দেওয়া হল কেন? কেনই বা দিল্লি তাঁকে নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঘেরাটোপে রেখেছে?''
রাঙ্কায় হেমন্ত সোরেন যখন এই বক্তব্য রাখলেন, তার কয়েকঘণ্টা আগে রাঁচিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের অ-বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সুর চড়ান তিনি। বলেন, ''ঝাড়খণ্ড অনুপ্রবেশকারীতে ভরে যাচ্ছে। আদিবাসীর সংখ্যা কমছে। এখানে অনুপ্রবেশকারীরা আসছে আর এখানকার মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে তাদের জমিজমা দখল করে নিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির আমলে ঝাড়খণ্ডের উন্নতি হয়েছে। পাঁচ বছর আগে হেমন্ত সোরেন রাজ্যের দায়িত্ব নিয়ে মোদি সরকারের অনেক প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে।'' তার জবাব দিতে গিয়ে হেমন্ত সোরেন হাতিয়ার করলেন হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ।