shono
Advertisement

‘অস্থায়ী বিধান স্থায়ী হল কী করে?’, ৩৭০ ধারা নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন।
Posted: 05:10 PM Aug 03, 2023Updated: 05:10 PM Aug 03, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিলের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীপক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করল, গণ পরিষদের অস্তিত্বই যেখানে নেই, সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ বাতিলের সুপারিশ করল কে। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের আরও প্রশ্ন, ৩৭০ ধারাকে সংবিধানে একটি অস্থায়ী বিধান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই অস্থায়ী বিধান কী করে স্থায়ী বিধানে পরিণত হল?

Advertisement

উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে শীর্ষ আদালতে মোট ২০টি আবেদন জমা পড়েছে। বুধবার থেকে ধারাবাহিকভাবে মামলাগুলির শুনানি শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কপিলের কাছে জানতে চান, ৩৭০ ধারা, যেটি সংবিধানে অস্থায়ী বিধান হিসেবে উল্লিখিত, ১৯৫৭ সালে গণ পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কী করে স্থায়ী বিধানে পরিণত হল।

[আরও পড়ুন: নৃশংস! রাজস্থানে কিশোরীকে গণধর্ষণের পর খুন! ইটভাটায় মিলল পোড়া দেহাংশ]

এরপর ৩৭০-এর ৩ নম্বর উপধারার উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত জানায়, এটা কার্যকর করা যায় কিনা, গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এটা কার্যকর করা হবে কিনা কিংবা বিধানে কোনও ব্যতিক্রম রাখা হবে অথবা কোনও পরিবর্তন করা হবে কিনা, তাও যে রাষ্ট্রপতি ঠিক করতে পারেন সেকথাও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই কপিল সিবল জানান, তাঁদের ক্ষেত্রে মূল যুক্তি, গণ পরিষদের সুপরিশ ছাড়া রাষ্ট্রপতির পক্ষে ৩৭০ ধারা বাতিলের সুপারিশ করা সম্ভব নয়।

[আরও পড়ুন: ২৮% জিএসটির আওতায় অনলাইন গেম, ঘোষণা নির্মলার]

প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) পাশাপাশি সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত। মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement