shono
Advertisement

সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী প্রয়োজন, মানলেন মোদি

গণতন্ত্র নিয়ে মোদির এই উদ্বেগকে কুম্ভীরাশ্রু বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির।
Posted: 06:38 PM Jun 03, 2022Updated: 06:38 PM Jun 03, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিরোধী শিবির দুর্বল। সুস্থ ও সবল গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য শক্তিশালী বিরোধী থাকা প্রয়োজন। এতদিন বিজেপি বিরোধীরা যে কথা বলছিলেন, সে কথা এবার শোনা গেল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুখে। চোখে আঙুল দিয়ে বিরোধীদের দুর্বলতা ধরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের (Ramnath Kovind) জন্মভিটে পারানুখে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও একবার পরিবারতান্ত্রিক দলগুলিকে আক্রমণ করেছেন। মোদির দাবি, পরিবারতান্ত্রিক মানসিকতাই আজ দেশের বিরোধী শিবিরকে পিছিয়ে দিচ্ছে। পরিবারতন্ত্র প্রতিভার গলা টিপে খুন করছে। এই রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। যাতে গ্রাম থেকে উঠে আসা সাধারণ নাগরিকরাও প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হতে পারেন। রাষ্ট্রপতির গ্রামে গিয়ে মোদি বলেন, “আমি কারও বিরোধী নই। কিন্তু আমি দেশে শক্তিশালী বিরোধী চাই।”

[আরও পড়ুন: By-Election Results: উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ধামির মসনদের কাঁটা সরল, কেরলে ধাক্কা বামেদের]

যদিও গণতন্ত্র নিয়ে মোদির এই উদ্বেগকে কুম্ভীরাশ্রু বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির। কারণ প্রধানমন্ত্রী মুখে যখন গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, তখনই তাঁর সরকার এবং দল বিরোধী শিবিরকে কোণঠাসা করার সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী শিবিরের কোনও না কোনও নেতা নাম লেখাচ্ছেন বিজেপিতে (BJP)। আবার নিয়মিতভাবে বিরোধী শিবিরের নেতামন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় এজেন্সিরও তলব পাচ্ছেন। এবং তাঁদের প্রত্যেকেরই অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি। তাঁরা বলছেন, যদি সত্যিই প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী বিরোধী চান, তাহলে দল ভাঙানো আর এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো বন্ধ করা উচিত বিজেপির।

[আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা। বিমানবন্দরগুলিতে ফের মাস্ক পরা নিয়ে কড়াকড়ির নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের]

বস্তুত এই মুহূর্তে গোটা দেশে প্রশ্নাতীতভাবেই বিজেপি অপ্রতিরোধ্য শক্তি। লোকসভায় স্রেফ বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৩০০। আর এনডিএ জোটের আসনসংখ্যা ৩৩৩। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, মধ্যপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যেও বিজেপিরই সরকার চলছে। বস্তুত এই মুহূর্তে দেশের সিংহভাগ রাজ্যেই ক্ষমতাসীন বিজেপি বা তাঁদের জোটসঙ্গীরা। সেখানে বিরোধী শিবির অনেকটাই ছন্নছাড়া। বিশেষ করে কংগ্রেসের (Congress) অবস্থা অতি সংকটজনক। তাঁদের হাতে এখন সাকুল্যে দুটি রাজ্যে। দেশের অধিকাংশ বড় রাজ্যেই কার্যত অস্তিত্বের সঙ্গে লড়াই করছে হাত শিবির। একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। ভেঙে পড়ছে সংগঠনও। মোদির এদিনের মন্তব্যে কংগ্রেসের প্রতি সহানুভূতিও যেমন ছিল, তেমন কটাক্ষও ছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement