সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে চিনা (China) আগ্রাসনের জবাবে অর্থনীতির ময়দানেও মোর্চা খুলেছে ভারত (India)। চিনা পণ্যের আমদানিতে রাশ টানতে এবার দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশের সঙ্গে ব্যাটারি তৈরিতে প্রয়োজনীয় লিথিয়াম কিনতে আগ্রহী নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: ড্রাগনের চাপ! বিস্ফোরক-সহ ধৃত ১০ জন চিনা গুপ্তচরকে মুক্তি দিল আফগানিস্তান]
ব্যাটারি নির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ হচ্ছে লিথিয়াম। যানবাহন, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ইত্যাদিতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। ফলে এই পদার্থের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত চিন থেকেই ব্যাটারি শিল্পের কাঁচামাল এবং খনিজ আকরিক আসে ভারতে। কিন্তু গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি পালটেছে। সীমান্ত বিবাদের পর অন্য পথ দেখতে চাইছে ভারত। ২০১৯ সালেই তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা নালকো, হিন্দুস্তান কপার এবং মিনারাল এক্সপ্লোরেশন লিমিটেডকে এক ছাতায় তলায় এনে তৈরি করা হয় নতুন সংস্থা– খনিজ বিদেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড। এই সংস্থাই আর্জেন্টিনা, চিলি এবং বলিভিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে আর্জেন্টিনার একটি সংস্থার সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকায় লিথিয়াম খনন করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে খনিজ বিদেশ ইন্ডিয়া লিমিটেড। বর্তমানে বাজারে লিথিয়াম ব্যাটারির প্রচুর চাহিদা রয়েছে বাজারে। যানবাহনেও ব্যবহার হচ্ছে নিকেল থেকে তৈরি ওই সেল। ভবিষ্যতে জোগান শৃঙ্খল ছিঁড়তে পারে, এই ভয়ে আগে থেকেই এই খনিজ সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, লাদাখে ভারতের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছে চিন। তাই সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ‘ড্রাগন’কে জবাব দিয়েছেন দেশের বণিকরাও। অর্থনীতির ময়দানে বেজিংকে কুপোকাত করতে গত বছরই ৩ হাজার চিনা পণ্য বয়কট করার ডাক দিয়েছিল ‘The Confederation of All India Traders’ (CAIT)। ফলে দেশের বাজারে বহু সস্তার চিনা সামগ্রীর প্রবেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, একাধিক বড় সরকারি পরিকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প থেকেও চিনা সংস্থাগুলির বরাত বাতিল করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ডব মিলিয়ে অর্থনীতির ময়দানে চিনকে উপযুক্ত জবাব দিতে সমস্ত চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি।