সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্কের বোঝা কমাতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই কথা শুরু হতে চলেছে দুই দেশের মধ্যে। উল্লেখ্য, ভারতের উপর ২৬ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে বর্ধিত শুল্কহার।

'বন্ধু' ট্রাম্পের শুল্ক-বাণে বেসামাল হয়ে পড়বে ভারত, এমনটাই মনে করছে বাণিজ্য মহল। তবে আমেরিকা পারস্পরিক শুল্ক চাপালেও ভারত তার পালটা কর বসায়নি। তাই মোদি সরকার এবার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে। প্রসঙ্গত, বর্ধিত শুল্ক চাপানোর সময়েই ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, ‘পারস্পরিক নয় এমন বাণিজ্য ব্যবস্থা শুধরে নিতে যেসব দেশ আগ্রহী, শুল্কযুদ্ধে তাদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।’ এই ধারাকে কাজে লাগিয়েই লাগিয়েই কিছুটা সমঝোতার পথে হাঁটতে চাইছে ভারত।
সরকারি আধিকারিকের মতে, এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে ভারতে অনেক কম হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে। আপাতত সেটাকেই ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখতে হবে। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ কর চাপিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু চিন, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা যথাক্রমে ৩৪%, ৪৬% এবং ৩২%। যেহেতু 'বন্ধু' ভারতের উপর অপেক্ষাকৃত কম অঙ্কের শুল্ক চাপিয়ছে আমেরিকা, তাই আলোচনায় বসতে চাইছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের শেষেই মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ভারতের বাণিজ্য মহলের প্রতিনিধিরা। তবে সেই বৈঠকটি ভারচুয়াল মাধ্যমে হবে। মে মাসের শেষ দিকে আমেরিকা পাড়ি দিতে চলেছেন ভারতীয় প্রতিনিধিরা। বাণিজ্যসচিব সুনীল বর্থওয়াল জানান, ট্রাম্পের এই পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নির্দেশে ভারতের উপর চ্যালেঞ্জ হলেও একটা বড় সুযোগ হতে পারে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিল ভারত। শুল্কযুদ্ধের আবহে সেটা দ্রুত স্বাক্ষরিত হয়ে যেতে পারে বলেই আশাবাদী সুনীল।