shono
Advertisement

ইঞ্জেকশন নয়, এবার ট্যাবলেটই করোনার টিকা! নতুন সাফল্যের দাবি ভারতীয় সংস্থার

এই টিকার একটি ডোজই করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে।
Posted: 04:37 PM Mar 22, 2021Updated: 05:20 PM Mar 22, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণ ঠেকাতে জোড়া টিকা এনে খানিকটা সাফল্য পেয়েছে ভারত। এবার দেশেরই এক সংস্থা আরও বড় সাফল্য দাবি করল। তাদের দাবি, ইঞ্জেকশন নয়, এবার ক্যাপসুলের মধ্য়ে দিয়েই নেওয়া যাবে কোভিড টিকা (Corona Vaccine)। অর্থাৎ অন্যান্য ক্য়াপসুলের মতো এটিও গিলে খাওয়া যাবে। ফলে এখনকার মতো ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে টিকা নিতে হবে না। ভারতীয় এই কোম্পানি এক মার্কিন (American) সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এই টিকা তৈরি করেছে বলে দাবি।

Advertisement

ভারতের ‘প্রেমাস বায়োটেক’ এবং মার্কিন কোম্পানি ‘ওরামেড ফার্মাসিটিক্যালস’-এর যৌথভাবে তৈরি করোনা টিকার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওরাভ্যাক্স কোভিড-১৯’। শুকতিকার, ১৯ মার্চ এই টিকার কথা ঘোষণা করা হয় দুই কোম্পানির তরফে। সেইসঙ্গে দাবি করা হয়, এই টিকার একটি ডোজই করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। অন্য টিকার মতো একাধিক ডোজ নিতে হবে না।

পশুদের উপর এই টিকা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাতে আশাপ্রদ ফল মিলেছে বলে দাবি সংস্থার। সেখানে দেখা গিয়েছে, শ্বাসযন্ত্র এবং খাদ্যনালী, যেখানে করোনা ভাইরাস সব থেকে বেশি ক্ষতি করে সেখানে এই টিকা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেন। কী ভাবে এই টিকা করোনা আটকাতে কাজ করে, তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে প্রেমাস বায়োটেকের তরফে।

[আরও পড়ুন: হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি, মামলা সরানোর ভাবনা এলাহাবাদ হাই কোর্টের]

ভারতীয় কোম্পানি প্রেমাস বায়োটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর প্রবুদ্ধ কুণ্ডু। প্রেমাস বায়োটেক দীর্ঘ দিন ধরে অন্যান্য রোগের টিকা প্রস্তুত করে। অন্যদিকে মার্কিন কোম্পানি ওরামেড প্রোটিন জাতীয় খাদ্য সামগ্রী তৈরিতে বিশ্বের এগিয়ে থাকা একটি সংস্থা। ফলে এই দুই সংস্থা তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই ক্যাপসুল আকারের টিকা ‘ওরাভ্যাক্স’ তৈরি করেছে। প্রাণীদের উপর ওরাভ্যাক্সের সফল পরীক্ষার পর চলতি বছরেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: নতুন আইফোনের বাক্সে নেই চার্জার, প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা অ্যাপেলকে]

এদিকে ভারত বায়োটেকও এমন ক্যাপসুলের আকারে না হলেও নাকে স্প্রে-র মাধ্যমে নেওয়া যাবে, এমন ভ্যাকসিন তৈরি করছে। সেই পরীক্ষাও অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক সাফল্য পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই মানব শরীরে প্রয়োগ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার, কবে ইঞ্জেকশনের বদলে ক্যাপসুল বা নেজাল স্প্রে রূপে ভ্যাকসিন বাজারে আসে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement