সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেলুদার গল্পের সেই ‘জাহাঙ্গিরের স্বর্ণমুদ্রা’র কথা সকলেরই জানা। কিন্তু এবার সামনে এল এক সত্যিকারের তেমনই মোহরের কথা। ইতিহাসে রাজরাজড়ার ঐশ্বর্যের হিসেব ধরা থাকে প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রায়। বিচিত্র তাদের গায়ের নকশা ও ওজন। ১০ গ্রাম কিংবা ৫০ গ্রামের স্বর্ণমুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ভাবা যায় একটি স্বর্ণমুদ্রারই (Gold coin) ওজন ১২ কেজি! হ্য়াঁ, এমনই এক প্রচণ্ড ভারী ‘জাহাঙ্গিরের স্বর্ণমুদ্রা’ ছিল হায়দরাবাদের (Hyderabad) নিজামের (Nizam) কোষাগারে। গত প্রায় চার দশক আগে যেটির সন্ধান করেছিল ভারত সরকার। কিন্তু সাফল্য আসেনি।
অবশেষে ফের বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করেছে কেন্দ্র।
ইতিহাসের বিচারে এই স্বর্ণমুদ্রাটি ‘অমূল্য’। তবে ১৯৮৭ সালে এর মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের শাসনকালে এটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই স্বর্ণমুদ্রাই ছিল হায়দরাবাদের অষ্টম নিজামের কাছে। তাঁকে সেটি দিয়েছিলেন তাঁর দাদু শেষ নিজাম মীর ওসমান আলি খান। তিনি সেটি সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে নিলামও করতে চেয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘শান্তি বজায় রাখুন’, উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে বার্তা মমতার]
কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI একটি মামলা দায়ের করে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল। সাফল্য আসেনি। ১৯৮৭ সালের সেই ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে সাড়ে তিন দশক। আজও অধরা ঐতিহাসিক অতিকায় স্বর্ণমুদ্রা। ফের সেই স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্র।
সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম ডিরেক্টর শান্তনু সেন তাঁর বইয়ে উল্লেখ করেছেন এই ঘটনার কথা। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গির তাঁর আমলে এরকম দু’টি স্বর্ণমুদ্রা নির্মাণ করিয়েছিলেন। যার একটি তিনি দিয়েছিলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত ইয়াদগার আলিকে। অন্যটি দেওয়া হয়েছিল হায়দরাবাদের নিজামকে। সেটিই পরে নিলাম করার চেষ্টা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। মুকাররাম জাহ সেটি নিলাম করতে চেয়েছিলেন। মোট দু’টি স্বর্ণমুদ্রা তিনি নিলামে তুলেছিলেন। যার একটি ১২ কেজির স্বর্ণমুদ্রাটি। তবে সেই সময়কার বহু তথ্যই এই মুহূর্তে হারিয়ে গিয়েছে। তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকদের অনেকেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন। এবার নতুন করে সেই স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্র।