সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে ধরনা নিয়ে এবার আরও কড়াকড়ির পথে হাঁটল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। ক্যাম্পাসে ধরনা দিলে, কোনও অশান্তি বাঁধালে কিংবা শারীরিক হেনস্তা, মারামারির ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করতে হয়েছে। ধরনার ক্ষেত্রে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা (Fine)দিতে হতে পারে পড়ুয়াদের। এমনকী তাঁদের ভরতি হওয়াও বাতিল হয়ে যেতে পারে। আর জেএনইউ কর্তৃপক্ষের এই বিজ্ঞপ্তিকে ‘তুঘলকী’ বলে তোপ দেগেছে এবিভিপি। আর এসবের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল কর্তৃপক্ষ।
দেশের অন্যতম নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরফে শৃঙ্খলাপরায়ণতা (Discipline) নিয়ে ১০ নিয়ম জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। তাতেই বিশদে রয়েছে একাধিক কড়া বিধিনিষেধ। একেকরকমের নিয়মভঙ্গের জন্য একেকটি শাস্তি ধার্য করা হয়েছে। জেএনইউ ক্যাম্পাসে হিংসা ছড়ালে ৩০ হাজার টাকা, ধরনায় (Dharna) বসলে ২০ হাজার টাকা – এমনই নানা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে পড়ুয়াদের। ১৭ টি বিষয়কে ‘অপরাধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্মঘট, জুয়াখেলা, অন্যায়ভাবে হস্টেল দখল করে রাখা, ক্যাম্পাসের ভিতরে অশালীন ভাষায় কথা বলার মতো ঘটনাকে অপরাধ গণ্য করে শাস্তি দেওয়ার নিদান দেওয়া হয়েছে। যৌন হেনস্তা, ইভটিজিং, Ragging-এর মতো গুরুতর অভিযোগ জমা করতে হবে চিফ প্রোক্টরের অফিসে। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁদের সঙ্গে যাব না,মানুষের জোট হবে’, লোকসভায় বাম-কংগ্রেসের হাত ধরতে নারাজ মমতা]
ছাত্র সংসদ একে ‘স্বৈরাচারী দমন পীড়ন নীতি’ বলে উল্লেখ করেছে। এমনকী এবিভিপি-ও এর প্রতিবাদ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) সম্পাদক বিকাশ প্যাটেলের বক্তব্য, এই নতুন নিয়মাবলি পুরোপুরি তুঘলকী। এটা পুরনো আমলের নিয়মকানুন। প্রত্যাহার করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রোক্টর রজনীশ মিশ্র বলেন, ”প্রোক্টরিয়াল অনুসন্ধানের পরই নতুন নিয়মাবলি স্থির করা হয়েছে।” তবে জেএনএউ-র উপাচার্য শান্তিশ্রী ডি পণ্ডিতের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘বেরিয়ে যান’, বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির চিৎকার শুনে কড়া ধমক প্রধান বিচারপতির]
তবে এসব নিয়ে গোটা পড়ুয়া মহল এককাট্টা হওয়ায় চাপের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।