সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পরে দেশজুড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন কাশ্মীরিরা! কোথাও পড়ুয়াদের কলেজ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার বাড়ির মালিকরা ভাড়াটে কাশ্মীরিদের চলে যেতে বলছেন। সবমিলিয়ে, দেশের নানা প্রান্তে আতঙ্কে ভুগছেন কাশ্মীরি পড়ুয়ারা। জম্মু-কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একাধিক রাজ্যের সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে তাঁরা যেন পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন।
উত্তরাখণ্ডের হিন্দু রক্ষা দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাশ্মীরি পড়ুয়াদের দরজায় দরজায় গিয়ে তারা হুমকি দিয়ে এসেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেরাদুন ছাড়তে হবে এমন ডেডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের। হুমকিতে ভয় পেয়ে অন্তত ২০ জন কাশ্মীরি পড়ুয়া বিমানবন্দরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান জম্মু-কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কনভেনর নাসির খুয়েহামি। তিনি আরও বলেন, ধারালো অস্ত্র নিয়ে মধ্যরাতে হস্টেলে ঢুকে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের উপর হামলা হয়েছে চন্ডীগড়ে।
এছাড়াও হিমাচল প্রদেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হস্টেলেও কাশ্মীরি পড়ুয়াদের উপর হামলার খবর মিলেছে। পড়ুয়াদের 'জঙ্গি' বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ২৪ ঘণ্টা পরে যদি কোনও কাশ্মীরি ওই চত্বরে থাকেন, তাহলে তাদের 'দেখে নেওয়া' হবে। প্রয়াগরাজে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের বলা হচ্ছে, ভাড়াবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। বাড়িওয়ালাদের হুমকির মুখে পড়ে অনেক কাশ্মীরি পড়ুয়া ইতিমধ্যেই পথে বসতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও জঙ্গি হামলার দায় কাশ্মীরিদের উপরে চাপাচ্ছে আমজনতা।