সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাটনায় বৈঠক (Opposition Meet) শুরুর আগেই মতানৈক্য বিরোধী শিবিরে। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সাফ জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেস যদি কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা না করে তাহলে এই বৈঠকে যোগ দেবে না আপ। অন্যদিকে, একযোগে বিজেপি-কংগ্রেসকে (Congress) বিঁধে বিরোধী বৈঠক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী (Mayawati)। পারিবারিক কারণে বিরোধী বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আরএলডি প্রধান জয়ন্ত চৌধুরিও (Jayant Chaudhury)। ফলে বৈঠকের আগেই প্রশ্ন উঠছে বিরোধী ঐক্য নিয়ে।
কেন্দ্রের জারি করা অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করে দেশের নানা রাজ্যে সফর করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, দিল্লিতে আমলাদের পোস্টিং ও বদলি করার সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি সরকারই। তার পালটা অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্র। এই অর্ডিন্যান্স জারির পরেই তীব্র বিরোধিতা করেন কেজরিওয়াল। বাংলা-সহ একাধিক বিরোধী শাসিত রাজ্যে গিয়ে সমর্থন চান। কিন্তু এই প্রসঙ্গে এখনও কিছুই বলেনি কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: তিনি কি পদত্যাগ করতে পারেন? জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন রাজীব সিনহা]
ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, দিল্লি কংগ্রেসের মত অনুযায়ীই এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবেন না রাহুল গান্ধীরা। তবে পাটনার বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হবে বলেই একাধিকবার জানিয়েছেন কেজরি। বৈঠকের ঠিক আগের দিনই তিনি সাফ জানালেন, কংগ্রেস যদি কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা না করে তাহলে বিরোধী বৈঠকে যোগ দেবে না আপ। শেষ পর্যন্ত যদি আপ এই বৈঠক থেকে সরে যায়, তাহলে বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধীদের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। টুইট করে তিনি বলেন, “কংগ্রেস বা বিজেপির মতো দলগুলি আসলে দরিদ্র মানুষের প্রতি ন্যায় আনতে পারে না। বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের তৈরি সংবিধান রক্ষা করতে পারবে না এই দলগুলি। বিরোধী বৈঠক করার আগে এই দলের নেতাদের উচিত মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা।” পারিবারিক কারণে বৈঠকে থাকবে না রাষ্ট্রীয় লোক দল। ফলে বৈঠকের আগেই সমস্যার মুখে বিরোধী ঐক্য।