সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের (Kerala) রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Arif Mohammad Khan) এবার রাজ্যের এলডিএফ (LDF) সরকারের মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত কর্মীদের জন্য আজীবন পেনশনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। রাজ্যপাল একে জনতার অর্থের অপব্যবহার বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে বিষয়টিকে তিনি ‘জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করবেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কেরলে রাজ্য সরকার ও রাজপাল সংঘাতের মধ্যে আরিফ মহম্মদ খানের এই মন্তব্য নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করবে। আগেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। তা নিয়েও দুই তরফে তীব্র বাদানবাদ হয়েছে।
গত শুক্রবার রাজ্যপাল খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একইভাবে সেই ইস্যুটি তুলে ধরব যেখানে মন্ত্রীদের কর্মীরা দু’বছর চাকরি করে আজীবন পেনশনের অধিকারী। এটা আইনের উপহাস এবং জনসাধারণের অর্থ। অপব্যয়। এই লোকেরা পার্টি-ক্যাডার, কিন্তু তাঁরা আজীবন পেনশনের অধিকারী হয়।” তিনি বিষয়টিকে অত্যন্ত বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করে বলেন, এই প্রথায় ইতি টানাই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার পাবে। তিনি এটিকে একটি বড় জাতীয় ইস্যু করে তুলবেন। এরপরেই তাঁর মন্তব্য, “অর্থ কেরলের মানুষের, ক্যাডারদের নয়।”
[আরও পড়ুন: এখনই অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নয়, ইডিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে তৃণমূল নেতা]
এর আগে মঙ্গলবার, নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান কেরালার রাজভবনে এলডিএফ কর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রতিক্রিয়ায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং রাজ্য বিধানসভা দ্বারা পাস করা বিলে সম্মতির জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই কর্মসূচি। তবে তিনি সেই ব্যক্তি নন, যাঁকে চাপ দিয়ে কেউ কিছু করাতে পারবে। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে হস্তক্ষেপের কোনও প্রমাণ দিতে পারলে, তিনি পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্রসূতিকে বাঁচাতে নিজেই রক্তদান করলেন ডাক্তার, কুর্নিশ নেটদুনিয়ার
আরিফ মহম্মদ খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর কাজ আচার্যের (পদাধিকার বলে রাজ্যপালের), সরকার চালানোর কাজ হল নির্বাচিত সরকারের হাতে। আমাকে একটা উদাহরণ দিন যেখানে আমি সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছি, আমি সেই মুহূর্তেই পদত্যাগ করব। আমি আপনাকে ১,০০১টি উদাহরণ দিতে পারি যেখানে তারা হস্তক্ষেপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে।”