সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাগান থেকে তাড়াতে গিয়ে আচমকাই গো-হত্যার ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সে পাপ দূর করতে মাথা পেতে নিতে হবে অদ্ভুত সাজা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের নিদান, তাঁর পাঁচ বছরের কন্যার বিবাহই এ পাপ থেকে তাঁকে মুক্ত করতে পারে।
[ OMG! চেয়েছিলেন সন্তান, DNA পরীক্ষায় যমজ প্রমাণিত হলেন দম্পতি ]
ঘটনা মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার তারাপুর গ্রামের। মাস চারেক আগে বাগান থেকে একটি বাছুরকে তাড়াতে চেয়েছিলেন এই ব্যক্তি। ঢিল ছুড়ে তাড়াতে গিয়েই বিপত্তি। ঢিল লেগে আহত হয় বাছুরটি। পরে মারাও যায়। ফলে গো-হ্ত্যায় অভিযুক্ত হন ওই ব্যক্তি। সাজা হিসেবে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রথমে নিদান দেয়, কোনও এক ধর্মীয় স্থানে গিয়ে সকল গ্রামবাসীর ভুরিভোজের আয়োজন করতে হবে। পরিবারটি তাতে রাজিও হয়। কিন্তু অনেকেই বেঁকে বসেন এ ব্যাপারে। তাঁদের দাবি, এতেও পুরো পাপ দূর হবে না। যেহেতু তা গো-হত্যার মতো ঘোরতর পাপ। অতএব নিদান, বিয়ে দিতে হবে ওই ব্যক্তির বছর পাঁচেকের কন্যা সন্তানটির। সেটাই নাকি স্থানীয় রীতি। এমনকী খুঁজেপেতে একটি বছর আষ্টেকের বালকের সঙ্গে শিশুটির বিয়েও ঠিক করে ফেলা হয়।
[ OMG! চেয়েছিলেন সন্তান, DNA পরীক্ষায় যমজ প্রমাণিত হলেন দম্পতি ]
কিন্তু এ নিদান মানতে রাজি হননি শিশুটির মা। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পুরো বিষয়টি তিনি জেলাশাসকের নজরে আনেন। তারপরই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ খান জানাচ্ছেন, মূলত বানজারা সম্প্রদায়ের বাস ওই গ্রামে। সেখানেই স্থানীয় পঞ্চায়েত এরকম অদ্ভুত নির্দেশ দিয়েছিল মাস চারেক আগে। যদিও মেয়েটির মা এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর পরই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসকের তরফ থেকে এক বিশেষ দল গ্রামটিতে যায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। একটি বন্ডে স্বাক্ষর করানো হয় কয়েকজনকে। তা অমান্য করলে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। সেইসঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। যাতে এরকম বিবাহ না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে বলা হয় তাঁদের। পাশাপাশি নিয়মিত জেলাস্তরে ঘটনার রিপোর্ট জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
[ মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন ক্ষতিকর নয়, মত টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির ]
ছবি প্রতীকী
The post বাবার গো-হত্যার ‘শাস্তি’, নাবালিকার বিয়ের নিদান পঞ্চায়েতের appeared first on Sangbad Pratidin.