সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদ নিয়ে বিতর্কের পর এবার পাকিস্তান, চিন, কাশ্মীর নিয়েও একাধিক রদবদল নজরে এল এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)-এর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাসে। মুছে দেওয়া হল আজাদ কাশ্মীর, ভারত সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশের মতো একাধিক শব্দ। পরিবর্তে একাধিক নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন সিলেবাসে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Aricle 370) প্রত্যাহার।
দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই থেকে পুরানো আজাদ কাশ্মীর (Azad Kashmir) শব্দটি পুরোপুরি মুছে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে নয়া সিলেবাসে যুক্ত হয়েছে 'পাক অধিকৃত কাশ্মীর' (POK) শব্দটি। পুরানো বইয়ের ১১৯ পাতায় আগে লেখা ছিল, 'ভারত দাবি করে, ওই এলাকা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। পাকিস্তান (Pakistan) ওই এলাকাকে আজাদ কাশ্মীর বলে দাবি করে।' তবে এই লাইন পুরোপুরি বদল করে নয়া সিলেবাসে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে, 'এটি ভারতীয় ভুখণ্ড। যা অবৈধভাবে পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। এই এলাকাকে বলা হয় পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)।'
[আরও পড়ুন: ফলাফল সন্দেহজনক! EVM ও ভিভিপ্যাট মেলানোর দাবিতে কমিশনে মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রার্থী]
পাশাপাশি নয়া সিলেবাসের ১৩২ পৃষ্ঠায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারনের বিষয়টি। আগে উল্লেখ ছিল, জম্মু ও কাশ্মীর-সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যকে বিশেষ বিধান দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জম্মু ও কাশ্মীরকে এই বিশেষ মর্যাদা দেয় ৩৭০ ধারা। যা ২০১৯ সালে তুলে নেওয়া হয়। নয়া সিলেবাসে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেন দেশের রাষ্ট্রপতি। যার বিস্তারিত লিঙ্কও জুড়ে দেওয়া হয়েছে বইতে।
[আরও পড়ুন: শেয়ার বাজার দুর্নীতি! সেবি সাক্ষাতের আগে পওয়ারের বাড়িতে বৈঠক তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের]
এর পাশাপাশি চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সম্পর্কিত বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা হয়েছে নয়া সিলেবাসে। যেমন, আগের বইয়ের ২৫ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছিল, 'সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দুই দেশের সামরিক সেই আশার অবসান ঘটিয়েছে।' নতুন বইয়ে এই বাক্য পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্তে চিনের অনুপ্রবেশ সেই আশাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থাৎ 'দুই দেশের সামরিক সংঘর্ষ' শব্দটি বাতিল করে স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে 'চিনা অনুপ্রবেশ' শব্দটি।