সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীরব মোদিকে কি দেশে ফেরানো সম্ভব হবে? দোষের সাজা কি মিলবে ধনকুবেরের? আপাতত এই প্রশ্নই আপামর দেশবাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু প্রায় ১৮০ ডিগ্রি উলটো অবস্থানে দাঁড়িয়ে নীরবের আইনজীবী জানালেন, এত হইচইয়ে কিছুই হবে না। বোফর্স বা টু-জি কাণ্ডের মতোই চাপা পড়ে যাবে এই ঘটনা।
[ টাকা ফেরানোর রাস্তা বন্ধ করেছে পিএনবি, চিঠিতে দুষলেন নীরব ]
প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি। ব্যাংকিং সেক্টরকে প্রশ্নের মুখে ফেলে গা-ঢাকা দিয়েছেন হীরকরাজ নীরব মোদি। প্রশ্ন হচ্ছে, এত টাকা কীভাবে ফেরানো যাবে? কীভাবে হাল ফিরবে ব্যাংকিং সেক্টরের? তা নিয়েই মাথাব্যথা অর্থনীতিবিদদের। নীরবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে খানিকটা উদ্ধার হয়েছে বটে। কিন্তু তা যৎসমান্যই। এদিকে নীরবের অভিযোগ, ঋণ না শোধ করার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না। এমনকী ব্যবসা বিক্রি করেও ঋণ শোধ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পিএনবি পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেই বিপাকে ফেলেছে তাঁকে। ব্যবসা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েইছে, ধাক্কা খেয়েছে ভাবমূর্তিও। এই পরিস্থিতিতে দেশ থেকে চলে যাওয়া ছাড়া তাঁর আর কোনও উপায় ছিল না। প্রকারন্তরে পুরো ঘটনার জন্য ব্যাংকেই দায়ি করেছে হীরকরাজ। ব্যাংকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নানা মহলেই। কী করে একের পর এক ঋণের অনুমোদন দেওয়া হল, তা নিয়ে এখনও ধন্ধ বিদ্যমান। অবশ্য কেউ কেউ পালটা প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি কোটি কোটি টাকা প্রতারণা দেখেও চুপ করে বসে থাকবে ব্যাংক? নাকি ক্রমাগত ধনকুবেরদের ঋণ দিয়েই যাবে? প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই। আপাতত বিজয় মালিয়ার মতোই ফেরার নীরব মোদি। তাঁকে কখনও দেখা যাচ্ছে দুবাইয়ে তো কখনও নিউ ইয়র্কে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছে। যদিও তাতেও বিন্দুমাত্র ভীত নন নীরবের আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বোফর্স বা টু-জি কাণ্ডের মতোই এই ঘটনাও একসময় থেমে যাবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন অনেক হইচই করছে ঠিকই। কিন্তু আদালতে বা আইনি পথে কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারবে না। নীরব মোদি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলেই তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস।
The post বোফর্সের মতোই ধামাচাপা পড়বে নীরবের কীর্তি, বিস্ফোরক দাবি আইনজীবীর appeared first on Sangbad Pratidin.