সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কিছুক্ষণের মধ্যে সংসদে বাজেট (Budget 2025) পেশ করবেন নির্মলা সীতারমণ। এবার বাজেটসজ্জায় কী শাড়ি পরলেন তিনি, সেদিকে নজর ছিল অনেকের। দেখা গিয়েছে বাজেটসজ্জায় এবার নির্মলার পরনে সাদা ও সোনালি পাড়ের মধুবনী শাড়ি। বলা হচ্ছে, মধুবনী শিল্পের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এই সাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, চলতি বছরেই বিহারে নির্বাচন। সম্ভবত সে কারণে মধুবনী শাড়ি বেছে নিয়েছেন নির্মলা।

শাড়িটি বিহারের শিল্পী দুলারি দেবীর হাতে তৈরি। গত ২০২১ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন তিনি। মিথিলা আর্ট ইন্সটিটিউট তৈরি করে মধুবনী শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে। দুলারি দেবী বাজেট অধিবেশনে পরার জন্য এই শাড়িটি বিশেষভাবে তৈরি করেন। কেরলে কাসাভু শাড়ির উপরে মধুবনী কাজ করেন শিল্পী।
বলে রাখা ভালো, শ্রুতিকথা জানা যায় রাম ও সীতার বিয়ের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরার জন্য জনকরাজার নির্দেশে মধুবনী শিল্পের পথচলা শুরু। পরে কালের বিবর্তনে বদলায় নকশার ধরন। বর্তমানে মাছ মোটিভের মধুবনী ডিজাইন বহুল পরিচিত। দাম বেশ খানিকটাই বেশি। তবে আট থেকে আশি যেকোনও মহিলারই একেবারে প্রথম পছন্দের তালিকায় বরাবর রয়েছে মধুবনী।
এর আগে গত বছর তসরের উপর তুঁতের সঙ্গে সাদা সুতোর কাঁথা স্টিজের শাড়ি পরেন নির্মলা। সঙ্গে সুতোর কাজেরই মানানসই ব্লাউজ। গোটা শাড়ি জুড়ে ছিল লতাপাতা আঁকা রিভার্স কাঁথা স্টিচ। মূলত বাংলার শান্তিনিকেতনের দিকে কাঁথা স্টিচের এই শাড়ি তৈরি হয়।
২০২৩ সালে মেরুন রংয়ের সিল্কের শাড়ি পরেছিলেন নির্মলা। কালো-সোনালি পাড়ের শাড়িটিতে কাসুটি কাজ করা ছিল।
২০২২ সালে নস্যি এবং সাদার মিশেলে জ্যামিতিকৃতি সিল্কের শাড়ি পড়েছিলেন।
২০২১ সালে অফ হোয়াইট পোচামপল্লি ইক্কত স্টাইলের সিল্ক পরে দেখা গিয়েছিল নির্মলাকে।
২০২০ সালে হলুদ এবং নীল সরু পাড়ের সিল্ক শাড়ি পরেন অর্থমন্ত্রী।
২০১৯ সালে প্রথমবার সংসদে বাজেট পেশ করেন নির্মলা সীতারমণ। সে বছর গাঢ় গোলাপি রঙের সঙ্গে সোনালি পাড়ের মঙ্গলগিরি সিল্ক পড়েছিলেন নির্মলা। তার পর থেকেই বাজেটের পাশাপাশি নির্মলার শাড়ি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।