সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়। লোকসভায় (Lok Sabha Elections 2024) ‘একলা চলো’র বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও একই পথের যাত্রী, জানিয়ে দিয়েছেন পাঞ্জাবে একই লড়বেন। এবার বেসুরো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও (Nitish Kumar)। নাম না করে পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দাগলেন তিনি। এইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল নীতীশকে। সব মিলিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এর পরেই বিহারের রাজনৈতিক হাওয়া জটিল আকার ধারণ করে। যা এড়াতে পারছেন নীতীশও। বুধবার পাটনার একটি সভায় দাঁড়িয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়ে ইউপিএ সরকারকে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন। যদিও তা মানা হয়নি। এইসঙ্গে নাম না করে পরিবারতন্ত্র নিয়েও কংগ্রেসকে তোপ দাগেন তিনি। এর পরেই কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য মোদির প্রশংসা করেন।
[আরও পড়ুন: দুদিনের ভারত সফরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট, জয়পুরে পায়ে হেঁটে ‘ইতিহাস খুঁজবেন’ মোদি-ম্যাক্রোঁ]
কর্পূরী ঠাকুরের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি সভার আয়োজন করেছিল জেডিইউ। সেখানে নিজের ভাষণে নীতীশ বলেন, “২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসায় পর থেকেই আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে (ভারতরত্নের) আবেদন করে আসছি। শেষ পর্যন্ত বর্তমান সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিল। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।” সভামঞ্চে কর্পূরী ঠাকুরের ছেলে রামনাথ ঠাকুরের পাশে দাঁড়িয়ে মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন নীতীশ।
[আরও পড়ুন: অবসর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘প্রত্যাবর্তন’, কী বলছেন মেরি কম?]
উল্লেখ্য, কর্পূরী ঠাকুরের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলাদ সভা করেছি লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডিও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, কংগ্রেস নয়, এদিন লালুর দলকেই পরিবারতন্ত্র নিয়ে তোপ দেগেছেন নীতীশ কুমার।