সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়োজিক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আহমেদাবাদ-সহ ৪ শহরের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে ঘোষণা করেছে আগেই। আহমেদাবাদের শহরের কয়েকটি অংশ বাদ দিলেও গ্রামের বা শহরতলির বেশ কয়েকটি বসতি এলাকার পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। সেই এলাকাগুলি পুলিশ সিল করে দেওয়ায় এলাকার বাইরে মানুষেরা বেরোতো না পারলেও সারা দিন বাড়ির বাইরে রয়েছেন তারা। সঠিক চিকিৎসা, নজরদারির অভাবে ধুকছে সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
দেশে লকডাউন থাকা সত্ত্বেও বাড়ছে সংক্রমণের প্রভাব। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (IMCT) আহমেদাবাদ-সহ চারটি শহরকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করলেও হাল ফেরেনি আহমেদাবাদের। স্থানীয় অরবিন্দ মাখওয়ানির কথায়, “আমরা ১০-১২ দিন পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি এই এলাকায় কর্পোরেশনের লোক পাঠানোর জন্য। যাতে সকলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে ও আমাদের কিছু বিষয়ে সহজ করে বুঝিয়ে দিতে পারেন। এখনও পর্যন্ত এই এলাকায় কোনও স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে করোনা পরীক্ষা করেননি। এমনকি প্রশাসনের তরফ থেকে কেউ এসে পর্যন্ত আমাদের খাবার ও অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি।” এই ব্যক্তি থাকেন আহমেদাবাদের বেহরামপুরায়, যা কন্টেইনমেন্ট জোন (containment zone) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাখওয়ানির এলাকা থেকেই ৬০টি করোনা পজিটিভ ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে বেহরমপুরা থেকে মোট ১৭৩টি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অবাক করা বিষয় হল সবরমতী আশ্রমের পাশেই অবস্থিত বেহরমপুরা। স্থানীয়দের কথায়, আইএমসিটি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এই রাজ্য থেকে অগণিত আক্রান্তদের খুঁজে পাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন:মাত্র ১৫ মিনিটেই মিলবে ফল, করোনা পরীক্ষায় বাংলাদেশে তৈরি নয়া কিট]
প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সমালোচনায় সুর তুলেছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধী দলকে কাজে লাগিয়ে দেশ থেকে করোনা সংক্রমিত স্থানগুলিকে চিহ্নিত করার পূর্বে মোদির প্রয়োজন নিজের রাজ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা বলে জানান সমালোচকরা। কোনও পরিবার রেশন পেলেও সন্তানদের জন্য দুধ কিনতে যেতে পারছেন না। আর হটস্পটগুলি চিহ্নিত করে অ্যাসবেস্টস দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় বন্থ হয়ে গেছে যোগাযোগ। আহমেদাবাদের কয়েকটি ঘিঞ্জি বসতিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা গেলেও প্রতিটি পরিবারে বদলে তারা নিজেরা বেছে বেছে করোনা পরীক্ষা করছেন। ফলে চিকিৎসার মান সঠিক না হওয়ায় ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত গুজরাটে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৯৮।তবে স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুর কমিশনার বিজয় নেহরা জানান, রাজ্যের করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত যে নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে তা তারা মেনেই চলছেন। করোনা আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনেও রাখা হয়েছে বলেও জানান হয়।
[আরও পড়ুন:করোনা পরিস্থিতি দেখতে বারাসতে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ কেন্দ্রীয় দলের, জানলেন সমস্ত তথ্য]
The post স্বাস্থ্য পরিষেবার নামগন্ধ নেই, সাহায্যের আরজি ‘হটস্পট’ আহমেদাবাদের বাসিন্দাদের appeared first on Sangbad Pratidin.
