Pegasus নিয়ে আদালতের বাইরে এত বিতর্ক কেন? মামলাকারীদের প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

02:06 PM Aug 10, 2021 |
Advertisement

সোমনাথ রায়: Pegasus সংক্রান্ত প্রযুক্তির অপব্যবহারের অভিযোগ সত্যি হলে, তা মারাত্মক। ফোনে আড়ি পাতা সংক্রান্ত মামলার প্রথম দিনের শুরুতে এভাবেই কেন্দ্রকে কার্যত সতর্ক করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু মামলার দ্বিতীয় শুনানির দিন কার্যত ভর্ৎসনা শুনতে হল মামলাকারীদেরই। তাঁদের উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, “মামলা যখন আদালতে, তখন আদালতের বাইরে এত বিতর্ক কেন? আপনাদের সিস্টেমের উপর ভরসা থাকা উচিত।”

Advertisement

দেশের সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টদের ফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছিল এডিটর্স গিল্ড (Editors Guild)। এ ছাড়াও পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আরও বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল হয়েছিল। এদিন এই সব মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। শুনানির শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল মামলাকারীদের আবেদন পড়তে এবং তাঁর জবাব দিতে আরও খানিকটা সময় চেয়ে নেন। শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের আবেদন মেনে নিয়ে আগামী সোমবার পর্যন্ত মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: Kapil Sibal-এর জন্মদিনের পার্টিতে বিরোধীদের ভিড়, গান্ধীদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসে]

তবে, এদিন মামলাকারীদের একপ্রকার তিরস্কারই করতে শোনা যায় শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা মামলাকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “কেন এভাবে প্যারালাল প্ল্যাটফর্মে  বিতর্ক হচ্ছে? আপনারা যেটা সংবাদমাধ্যমে বলছেন, আপনাদের যা যা জিজ্ঞাস্য আছে, একবার এই আদালতে চলে এলে, সেই সব বিতর্ক এখানে হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। আমরা এটাও প্রত্যাশা করি যে, সরকার আমাদের এখানেই উত্তর দেবে।” শীর্ষ আদালতের সাফ কথা, “সব কিছুর একটা নিয়ম থাকা উচিত। আপনাদের সবার তরফ থেকে আমরা প্রশ্ন করি। কখনও কখনও সমস্যা থাকতে পারে। আপনাদের যদি আরও কোনও প্রশ্ন থাকে, তাহলে আলাদা করে মামলা করুন।”

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: প্রার্থী করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দলকে জানাতে হবে Criminal record, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট পেগাসাস সংক্রান্ত মামলাগুলির প্রথম শুনানি ছিল। সেদিনই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, এ বিষয়ে কেন্দ্রের মত জানার আগে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়। তারপরই কেন্দ্রকে মতামত জানানোর জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্র এদিন আরও খানিকটা সময়ে চেয়ে নিল।
Advertisement
Next