সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : পলাতক থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লেন কিংফিশারের মালিক বিজয় মালিয়া। কিংফিশার বিমান সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি ব্যাংকের নীতিকে দায়ী করলেন তিনি। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় বললেন, ‘জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচানোর জন্য দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক চেষ্টা করছে। কিন্তু সাত বছর আগে কিংফিশারকে বাঁচাতে এই উদ্যোগ কেউ নেয়নি।’ টুইটারে তিনি এও লেখেন, বিমান সংস্থাকে বাঁচাতে তিনি তাঁর সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলেন। ৪০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন, কিন্তু কোনও ব্যাংক তখন তাঁকে সাহায্য করেনি।
[ আরও পড়ুন : আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছে, কানহাইয়ার বিরুদ্ধে লড়া নিয়ে উলটো সুর গিরিরাজের]
তবে ব্যাংকের বৈষম্যমূ্লক আচরণে হতাশা প্রকাশ করলেও তিনি জেট এয়ারওয়েজের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। সোমবার নরেশ গোয়েল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা গোয়েলের ইস্তফার পর জেট এয়ারওয়েজ-এর ২২ হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ যখন অনিশ্চিত, ঠিক তখনই এই বার্তা দিলেন কিংফিশার কর্তা বিজয় মালিয়া। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে বর্তমানে ফেরার রয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে টুইটারে মালিয়া জানান, জেটের ভবিষ্যৎ তাঁর বিমান সংস্থা কিংফিশারের মতো হোক, তা তিনি চান না। ভারতীয় ব্যাংকগুলির কাছে তাঁর আবেদন, জেট বিমান সংস্থাকে বাঁচাতে প্রয়োজনে তাঁর টাকাও নেওয়া হোক৷
[আরও পড়ুন : প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দল, ভোটারদের চিঠি ‘মর্মাহত’ মুরলী মনোহর যোশীর]
সাড়ে ন’হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে দেশ থেকে পলাতক কিংফিশার কর্তার এই সাহায্য করার ইচ্ছায় বিস্মিত বিভিন্ন মহল। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ঋণ শোধ না করে দেশ ছেড়ে ব্রিটেনে গিয়ে আস্তানা গাড়েন বিজয় মালিয়া। বর্তমানে প্রত্যার্পণ চুক্তি অনুযায়ী বিজয় মালিয়াকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ব্রিটেন সরকার। এই পরিস্থিতিতেই টুইট বার্তায় তিনি দাবি করেন, একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অন্য পাওনাদারদের ঋণ শোধ করার জন্য কর্ণাটক হাই কোর্টের কাছে তিনি তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন। তারপরেও ব্যাংক কেন তাঁর টাকা নিয়ে জেট এয়ারওয়েজকে সাহায্য করছে না? সোমবার জেটের নরেশ ও অনিতা গোয়েলের শেয়ার কেনার জন্য বেশ কয়েকজন শিল্পপতির সঙ্গেও যোগাযোগ করে জেট এয়ারওয়েজ।
The post কিংফিশারের পাশে নয় কেন? ব্যাংকের বৈষম্য নিয়ে টুইটে খোঁচা মালিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.