সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটিএম (ATM) থেকে লোকে সাধারণত নগদ টাকা তোলে। ওয়াটার এটিএম-ও রয়েছে কোথাও কোথাও। কিন্তু এখানে তা মিলবে না। বরং এমন কিছু ঘটবে যা শুনে তাক লেগে যাবে মধ্যবিত্তের। গতকাল হায়দরাবাদে (Hyderabad) চালু হয়েছে গোল্ড এটিএম (Gold ATM)। নির্দিষ্ট কার্ড পাঞ্চ করলেই ওই এটিএম থেকে বের হবে ‘গুপ্তধন’, থুরি সোনার কয়েন (Gold Coin)। হায়দরাবাদের বেগমপেটে তাদের প্রথম সোনার এটিএম চালু করেছে গোল্ড সিক্কা প্রাইভেট লিমিটেড (Goldsikka Private Limited) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। কীভাবে ব্যবহার করা যাবে এই এটিএম?
গোল্ড এটিএম থেকে সোনার কয়েন কেনার জন্য ডেবিট বা ক্রেটিড কার্ড ব্যবহার করতে হবে। সোনার দাম সাধারণত ওঠা-নামা করে। ফলে মেশিনের ডিসপ্লে গ্রাহককে দেখিয়ে দেবে সেদিনের, সেই মুহূর্তের সোনার দাম। আট রকম ওজনের সোনার কয়েন পাওয়া যাবে এটিএমে। আপাতত ০.৫ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম ওজনের সেনার কয়েন মিলবে। মেশিনের ভিতের বিশেষ প্যাকেটে রাখা থাকবে সোনার কয়েনগুলি। সংস্থার তরফে আস্বস্ত করা হয়েছে, গ্রাহক নিরপদে সোনার কয়েন কিনতে পারবে তাদের এটিএম থেকে। মহার্ঘ ধাতুর বিশুদ্ধতার শংসাপত্রও মিলবে। এখান থেকে ২৪ ঘণ্টা সোনা কেনার সুযোগ পাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘লাভ জেহাদে’র ফাঁদে আদিবাসী মহিলারা! ‘রক্ষাকবচ’ দিতে কড়া পদক্ষেপের পথে মধ্যপ্রদেশ]
রবিবার বেগমপেটে গোল্ড এটিএমের উদ্বোধনে অংশ নেন তেলঙ্গানা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনিতা লক্ষ রেড্ডি। গোল্ড সিক্কা প্রাইভেট লিমিটেড তরফে জানানো হয়েছে, এরপর তারা তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গাল. করিমনগর এবং পুরনো হায়দরাবাদে গোল্ড এটিএমের কাউন্টার খুলবে। হায়দরাবাদ বিমানবন্দরেও গোল্ড এটিএম খোলার ইচ্ছে আছে সংস্থার। গোল্ড সিক্কার কর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে গোটা দেশেই গোল্ড এটিএম খোলার ইচ্ছে রয়েছে তাদের। দেশে মোট তিন হাজার সোনার এটিএম বসাতে চান তারা।
[আরও পড়ুন: Exit Poll 2022: গুজরাটে গেরুয়া ঝড়, হিমাচলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই]
প্রসঙ্গত, সংস্থা গোল্ডসিক্কার গোল্ড এটিএমকে অনেকেই দেশে প্রথম বলে দাবি করলেও তা ঠিক নয়। দেশের প্রথম গোল্ড এবং ডায়মন্ড এটিএম উদ্বোধন ২০১১ সালে। রত্ন সংস্থা গীতাঞ্জলী ওই এটিএম আনে। দক্ষিণ মুম্বইয়ে দেশের প্রথম গোল্ড ও ডায়মন্ড এটিএমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী রাইমা সেন।