shono
Advertisement

Breaking News

One Nation One Election

লোকসভায় তুমুল হট্টগোলের মধ্যে 'এক দেশ, এক ভোট' বিল জেপিসি-তে পাঠাচ্ছে মোদি সরকার

মন্ত্রিসভায় আলোচনা চলাকালীন বিলটি জেপিসি-তে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোন অঙ্ক?
Published By: Paramita PaulPosted: 03:00 PM Dec 17, 2024Updated: 07:29 PM Dec 17, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা মতোই জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) বা যৌথ সংসদীয় কমিটিতে যাচ্ছে 'এক দেশ, এক ভোট' বিল! মন্ত্রিসভায় আলোচনা চলাকালীন বিলটি জেপিসি-তে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই মতোই যৌথ সংসদীয় বিলটি কমিটিতে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার লোকসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার নেপথ্যে সুকৌশলী রাজনীতি দেখছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

নির্ধারিত সময় মেনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংসদে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) বিল লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন অর্জুনরাম মেঘওয়াল। এর পর আলোচনা পর্বে বিলের বিরোধিতায় সরব হন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের। চড়া সুরে বিলটির বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিলটি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর বিলের বিরোধিতায় সরব হন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, এই পদ্ধতি গণতন্ত্রের মূল ভাবনার পরিপন্থী। পাশাপাশি সপা সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, যারা একসঙ্গে ৮ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করাতে পারছে না, তারা কোন মুখে গোটা দেশে একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বলে। এর পর বক্তব্য রাখতে উঠে এই বিলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে তুমুল হই হট্টগোল বেঁধে যায় লোকসভায়। এর মাঝেই বিলটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য জেপিসি-তে পাঠানো হচ্ছে বিলটি।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "ছাড়পত্রের জন্য 'এক দেশ, এক ভোট' বিল মন্ত্রিসভায় পেশ করা হয়েছিল। তখনই বিস্তারিত আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি বিলটি জেপিসি-তে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। আইনমন্ত্রী যদি রাজি থাকেন তাহলে বিলটি জেপিসিতে পাঠানো হোক।" বিলটি লোকসভায় পেশের পরই তা জেপিসি-তে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। বিজেপির এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

বিরোধীরা বরাবর অভিযোগ, বারবার সংসদের মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিরোধী ভাষ্যকে মোটেও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই অভিযোগ যে একেবারেই পলকা নয়, তার ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত রয়েছে। এবারের লোকসভায় একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়ে বিজেপি অনেকটাই সমঝে চলছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখে বিজেপি সরকারের বদলে, বারবার শোনা গিয়েছে এনডিএ সরকারের কথা। এই প্রেক্ষাপটে নতুন বিল নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সাবধানী কেন্দ্রের শাসকদল। তাড়াহুড়ো নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে বিলটি পাশ করিয়ে নিতে চাইছে মোদি সরকার।

বিলটি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অন্দরেই মতানৈক্য রয়েছে। ফলে বিল পাশের ক্ষেত্রে সেই 'ফাটল' অন্তরায় হতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই এধরনের কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। তা স্পষ্ট করেই বিলটি জেপিসি-তে পাঠাচ্ছে তারা। কমিটিতে শাসকদলের পাশাপাশি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও থাকেন। তাই সেখানে বিলটি নিয়ে 'গণতান্ত্রিক' আলোচনা হবে। জেপিসি-তে পাঠানোর আরও একটি সুবিধা রয়েছে। কমিটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেদের সংশোধনী পেশ করতে হয়। তার পর বিলটি লোকসভায় পেশ করে ভোটাভুটির প্রস্তাব দেবে বিজেপি।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জল্পনা মতোই জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) বা যৌথ সংসদীয় কমিটিতে যাচ্ছে 'এক দেশ, এক ভোট' বিল।
  • মন্ত্রিসভায় আলোচনা চলাকালীন বিলটি জেপিসি-তে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
  • সেই মতোই যৌথ সংসদীয় বিলটি কমিটিতে পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement