সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় পেশ হয়েছে 'এক দেশ, এক ভোট' বিল। মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল তা পেশের সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরোধিতায় প্রবল শোরগোল তুলেছেন বিরোধীরা। বিলটি আপাতত যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে চায় সরকারপক্ষ। তারপর তা রাজ্যসভায় পেশের পর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বিল পাশ হওয়ার কথা। তবে সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে 'এক দেশ, এক ভোট' বিল পাশ হলেও কবে থেকে তা লাগু হবে? এই নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে আমজনতার। এনিয়ে জানা যাচ্ছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে তা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০৩৪ সালের আগে 'এক দেশ, এক ভোট' হতে পারবে না।
বিলের খসড়া থেকে যা বোঝা যাচ্ছে, তা অনেকটা এরকম - পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের পর প্রথম যেদিন সংসদ অধিবেশন বসবে, সেদিনটিকেই 'প্রথম দিন' বলে ধরা হবে। এর পরবর্তী পাঁচ বছর অর্থাৎ লোকসভার পূর্ণ মেয়াদ পর্যন্ত তা থাকবে। এখন আগামী লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সংসদের নিম্নকক্ষে নতুন নির্বাচন সরকারের মেয়াদ হবে পরবর্তী ৫ বছর অর্থাৎ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। 'এক দেশ, এক ভোট' বিলটি পাশ হলেও ততদিন পর্যন্ত আইন কার্যকর হতে পারবে না। ২০৩৪ সালের প্রথমার্ধ্বে একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। পরবর্তীতে পুরসভা-পঞ্চায়েত নির্বাচনকেও এর আওতায় আনা হবে। জানা যাচ্ছে, ১২৯ তম সংশোধনীর মাধ্যমে একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করাতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। আর এই সংশোধনীতেই আপত্তি বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, এই সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।
'এক দেশ, এক ভোট' বিলের খসড়া অনুযায়ী, কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে যদি বিধানসভা বা লোকসভা ভেঙে যায়, তাহলে শুধুমাত্র মেয়াদের বাকি সময়টুকুর জন্য লোকসভা বা বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। তারপর থেকে সমস্ত স্তরের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাতে বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে বলে যুক্তি সরকারপক্ষের। আবার বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা-লোকসভা-পুরসভা-পঞ্চায়েত ভোট একসঙ্গে হলে গণতন্ত্রের বৈচিত্র নষ্ট হবে। একেকটা নির্বাচন হয় একেকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। সেই সুযোগ হাতছাড়া হবে আমজনতার। ফলে এই বিল পাশ হয়ে আইন বলবৎ হলেও ২০৩৪ সালের আগে একসঙ্গে ভোটের সুযোগ নেই।