নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন সংসদের পুরনো ভবনেই হওয়ার সম্ভাবনা। চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে অধিবেশন, যা চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে প্রথম ২ দিন নতুন ভবনে বসতে পারে অধিবেশন। সচরাচর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া চল রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এত দেরিতে শীতকালীন অধিবেশন শুরু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Election) জন্যই অধিবেশনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধী শিবির। দেশের একটি রাজ্যের নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন পিছিয়ে দিয়ে কেন্দ্র সরকার যে নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে, তা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক এবং আগামী দিনের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন তাঁরা। বিরোধী শিবিরের এক নেতার কথায়, আজ গুজরাট নির্বাচনের জন্য বিজেপি (BJP) সংসদের অধিবেশনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিচ্ছে। তাহলে এবার থেকে কি বিজেপি শাসিত রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ দেখেই সংসদের অধিবেশনের দিন ঠিক হবে? এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য, মন্ত্রী অখিল গিরির তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি জারি তৃণমূলের]
একদিকে সরকারপক্ষ বিজেপি যখন গুজরাট নির্বাচনের কারণে অধিবেশেন পিছিয়ে দেওয়া তোড়জোড় চালাচ্ছে, তখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’তে ব্যস্ত থাকার কারণে অধিবেশন যোগ দিতে পারবেন না বলেই জানা গিয়েছে। লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে রাহুল ছুটির জন্য আবেদন করবেন। এমনই জানা গিয়েছে কংগ্রেস (Congress) সূত্রে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার তিন সাংসদ জয়রাম রমেশ, দ্বিগ্বিজয় সিং, কে সি বেণুগোপালও ভারত জোড়ো যাত্রার কারণে শীতাকলীন অধিবেশনে থাকতে পারবেন না বলে চিঠি দিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের কাছ থেকে ছুটি চাইবেন বলেও জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে ‘অকৃতকার্য’ আয়ুর্বেদ পড়ুয়াদের ভরতির অভিযোগে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ, তদন্তের নির্দেশ]
সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদ বিষয়ক কমিটি শীতকালীন অধিবেশন ডিসেম্বরের ৭ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত চলার সুপারিশ করেছেন। রাজনাথ লোকসভার উপ-দলনেতাও। শীতকালীন অধিবেশনে ১৭ টি কর্মদিবসের সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম দিনটি শোক প্রস্তাবের কারণে মুলতুবি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সাংসদের মধ্যে যারা সম্প্রতি মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রবাদপ্রতিম নেতা মুলায়ম সিং যাদব। দেশে কোভিড (COVID-19) সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভা সচিবালয়ের বেশিরভাগ সদস্য এবং কর্মীরা সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত তাই এবার করোনা বিধি ছাড়াই অধিবেশন হতে পারে।