সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা বলেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকও বসা উচিত। না হলে কাশ্মীর গাজা হয়ে উঠবে। কিন্তু ভারত যে সেদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর সাফ বার্তা, ভারতকে আলোচনার পথে আনতে সন্ত্রাসবাদকেই অস্ত্র করছে পাকিস্তান। এটাই নীতি তাদের। ইঙ্গিতে, ফারুক আবদুল্লাও যে পাকিস্তানের সুরে সুর মেলাচ্ছেন তা বুঝিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন জয়শংকর। সেখানে উঠে আসে পাকিস্তান প্রসঙ্গ। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান যে পন্থা নিয়েছে তা নতুন নয়। বিগত কয়েক দশক ধরে তারা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার করছে। এই খেলা খেলে ওরা ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাইছে। কিন্তু এটা এখন আমাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। এটাই তাদের নীতি।” তিনি আরও বলেন, “এমন নয় যে আমরা আমাদের প্রতিবেশিদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাই না। দিনের শেষে একজন প্রতিবেশি একজন প্রতিবেশিই থাকে। কিন্তু যে দেশ সন্ত্রাসবাদের চর্চা করে, সন্ত্রাসবাদকে বৈধতা দেয়, তাদের সঙ্গে ভারত কোনও সমঝোতা করে আলোচনায় বসবে না।”
[আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে চায় প্রধান বিচারপতিকে, কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে মামলা সুপ্রিম কোর্টে]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা (Farooq Abdullah) একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। বর্ষীয়ান নেতার বক্তব্য ছিল, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেন যুদ্ধ কোনও সমস্যা সমাধানের বিকল্প পথ নয়। বৈঠক বা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা উচিত। তাহলে কোথায় বৈঠক হচ্ছে? নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। ওঁরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তাহলে কেন ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে আমরা তৈরি নই? কী এমন কারণ রয়েছে। যদি আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে না আসি তাহলে আমাদের পরিণতিও গাজার মতো হবে। যেখানে বোমাবর্ষণ করছে ইজরায়েল।” কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এদিন ফারুক আবদুল্লার মন্তব্যেরই পালটা দেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর।
মঙ্গলবারের সাক্ষাৎকারে জয়শংকর শুধু পাকিস্তানকেই নিশানা করেননি। তোপ দেগেছেন কানাডাকেও। ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “কানাডায় খলিস্তানিদের ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে জায়গা করে দেওয়া হয়। যা দুদেশের সম্পর্ককে নষ্ট করছে। আমি মনে করি, দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ করতে ভারতও চায় না, কানাডাও চায় না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটা সেদেশের রাজনীতি।”