সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর নিয়ে একাধিক যুদ্ধ। ভারতের বিরুদ্ধে আইএসআইয়ের লাগাতার ছায়াযুদ্ধ। মুম্বইয়ে জেহাদি হামলা ও পুলওয়ামার মতো ক্ষত। সবমিলিয়ে, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক যে কোথায় দাঁড়িয়ে তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে প্রায় এক দশক পর ভারতে পা রাখছেন পাকিস্তানের কোনও বিদেশমন্ত্রী। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
আজ বৃহস্পতিবার, ৪ মে থেকে গোয়ায় শুরু হওয়া শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন বিলাওয়াল জরদারি ভুট্টো। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। মনে করা হচ্ছে, এবার হয়তো দুই দেশের মধ্যে ফের শান্তিবার্তা শুরু হওয়া নিয়ে কোনও সদর্থক সংকেত মিললেও মিলতে পারে।
তবে বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সম্প্রতি সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ রপ্তানি নিয়ে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীী এস জয়শংকর। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এসসিও বৈঠকে দুই আণবিক শক্তিধর প্রতিবেশি দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বীপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
[আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়’, চিনের বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শংকরের]
এদিকে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কথা হবে এসসিও-র আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য- চিন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এবছর জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি পদে বসেছে ভারত। সম্মেলনের প্রথম দিনই এই দু’টি পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ শুক্রবার, সম্মেলনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন জয়শংকর।
উল্লেখ্য, গোয়ায় চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে জয়শংকরের বৈঠকের দিকে নজর থাকবে কূটনৈতিক মহলের। মাস দুয়েক আগেই জি-২০-র পার্শ্ববৈঠকে নয়াদিল্লিতে গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সম্পর্কের অস্বাভাবিকতা নিয়ে গত দু’মাসে বারবার বেজিংকে বার্তা দিয়েছে দিল্লি।