সুব্রত বিশ্বাস: সাবধান! এবার ট্রেনের জানলা দিয়ে চিপসের খালি প্যাকেট ফেলার আগে একবার ভাবুন। প্যাকেট নয়, চায়ের ভাঁড় থেকে জলের খালি বোতল, যে কোনও ধরনের আবর্জনা। জানলা দিয়ে লাইনে ফেললেই দিতে হবে জরিমানা (Fine)। প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন আবর্জনা ফেললেই জরিমানার নিয়ম রয়েছেই। একই আইনের আওতায় এবার পড়তে হবে লাইনে আবর্জনা ফেললেই। রেলের আইনের ১৪৫ (সি) ধারায় গ্রেপ্তার করা হবে অভিযুক্তকে। পূর্ব রেলের (Eastern Railway) আরপিএফের আইজি পরমশিব জানিয়েছেন, আইনটি পুরনো হলেও তা এবার কড়াভাবে প্রয়োগ করা হবে।
স্টেশন ও ট্রেনে আবর্জনা (Garbage) ফেলেন যাত্রীরা। পরিচ্ছন্ন রাখার স্বার্থে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় সেগুলি। পাশাপাশি লাইন পরিষ্কার রাখার জন্যও ঠিকা কর্মীদের লাগানো হয়েছে। রেল একদিকে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করলেও অনেক যাত্রীই তা হেলায় অবজ্ঞা করে থাকেন। যত্রতত্র ময়লা ফেলা থেকে শুরু করে গুটখা ও পানের পিক ফেলেন। ফলে রেলের খরচ সীমাহীন পর্যায়ে এসেছে। তাই যাত্রীদের আইনের বেড়াজালে বেঁধে ‘সবক’ শেখাতেই শুরু হবে ধরপাকড়। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম! লোকসভার আগে মাথায় হাত কংগ্রেসের]
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে রেল ইদানিং কড়া পদক্ষেপের কারণ সম্পর্কে এক সহকারী কমার্শিয়াল ম্যানেজার বলেন, ”স্টেশনগুলি অমৃত ভারত প্রকল্পে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে। ফলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।” উত্তর মধ্য রেলের প্রয়াগরাজ স্টেশনে সাফাইয়ের কাজে সহযোগী পক্ষীকূলকে খাবার খাইয়ে রীতিমতো স্টেশনে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করতো সাফাই কর্মীরা। ওই রুটে চলাচলকারী দূরপাল্লার সব ট্রেন দাঁড়াত। সেসব ট্রেন থেকে আকছার উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলতেন যাত্রীরা। যা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে সাবাড় করে দিত শালিক পাখির দল। তাদের সন্তর্পণে রক্ষা করতেন রেল কর্মীরাই। ইদানিং পাখিরা বিদায় নেওয়ায় সমস্যা বেড়েছে কর্মীদের, এমনই বলছেন স্টেশনে কর্তব্যরত সাফাই কর্মীরা।