সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) একটি গ্রামের জলসংকটের ভিডিও (Video) প্রকাশ্যে এসেছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল, এক মহিলা পানীয় জলের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া একটি কুয়োতে নামছেন। দড়ি বা অন্য কোনও কিছুর সাহায্য ছাড়াই। যা দেখে শিউরে উঠেছিলেন নেটিজেনরা। সেই মহারাষ্ট্রের জলসংকটের নয়া ছবি প্রকাশ্যে এল এবার। যা আরও ভয়াবহ বললে ভুল হয় না। সেখানে দেখা গেল, এক বালতি জল পাওয়ার জন্য একটি কুয়ো ঘিরে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। কুয়োর পাড়ে দাঁড়িয়ে হুড়োহুড়ি করে জল নেওয়ার চেষ্টা করছে ভিড়। চলছে ধাক্কাধাক্কি। যে কোনও মুহূর্তে গভীর কুয়োতে পড়ে ঘটে যেতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা।
মাস খানেকের কিছু বেশি আগে মহারাষ্ট্রের যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল সেটি ছিল ত্রিম্বকেশ্বর জেলার মেটঘর গ্রামের। এবারের ভিডিওটি মালঘাটের খাদিয়াল গ্রামের। উল্লেখ্য, প্রতিবছর গরমের সময় নিয়ম করে পানীয় জলের সংকট দেখা দেয় দেশের বিস্তীর্ণ অংশে। তৈরি হয় খরা পরিস্থিতি। কিন্তু জীবনের আর এক নাম জল। ফলে তার জোগাড় লাগেই, যেভাবেই হোক। প্রাণ বাঁচাতে প্রাণ যেতে পারে জেনেও গ্রামের মানুষকে ঝুঁকি নিতেই হয়। সেই দৃশ্যই দেখল সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)।
[আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদ বিতর্কে রাষ্ট্রসংঘেও ধাক্কা খাবে ভারত! প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির]
সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI) ভাইরাল ভিডিওটির ক্যাপশনে লিখেছে, গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মালঘাটের খাদিয়াল গ্রামে দু’টি মাত্র পানীয় জলের কুয়ো রয়েছে। দু’টিতেই জল প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে। এদিকে গ্রামের জনসংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। ওই জলে তেষ্টা মেটে না। স্থানীয় প্রশাসন আপাতত প্রতিদিন দু’টি করে জলবাহী ট্যাঙ্কার গাড়ি পাঠাচ্ছে গ্রামে। যেভাবেই হোক সেই জল পেতে ওইরকম হুড়োহুড়ি। কিন্তু কুয়োর চারপাশে ভিড় কেন?
[আরও পড়ুন: ‘৫ লক্ষ আর্থিক সাহায্য কিছুই নয়, আমরা কি ভিখারি?’, কেন্দ্রকে তোপ মৃত কাশ্মীরি পণ্ডিতের বাবার]
কারণ প্রশাসন সরাসরি ট্যাঙ্কার থেকে জল না দিয়ে পাইপের মাধ্যমে জল ঢালা হচ্ছে কুয়োতে। সেখান থেকে জল নিতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। সেই জল নিতেই কুয়োর ধারে ওইরকম ভিড়। জল ফুরোনোর আগে হুড়মুড় করে দড়িতে বাঁধা বালতি, প্লাস্টিকের পাত্র কুয়োতে নামিয়ে জল নেওয়ার চেষ্টা করছেন একসঙ্গে সকলেই। ফলে গভীর কুয়োর পাড়ে চলছে ধাক্কাধাক্কি। এর ফলে যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারত দুর্ঘটনা। ওই গভীর কুয়োয় পড়ে মৃত্যুও হতে পারত গ্রামবাসীদের। প্রশ্ন উঠছে, কুয়োতে জল না ঢেলে কেন সরাসরি ট্যাঙ্কার থেকে জল দেওয়া হচ্ছে না গ্রামবাসীদের?