সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) প্রজাতন্ত্র দিবসে বিভিন্ন রাজ্য ও সংস্কৃতির শিরস্ত্রাণ পরার ঐতিহ্য অব্যাহত রাখলেন। ৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে মোদির মাথায় দেখা গেল নতুন শিরস্ত্রাণ বা টুপি। যেটি আসলে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাসিন্দারা পরে থাকেন। এইসঙ্গে টুপিতে ছিল ব্রহ্মকমলের নক্সা। যা আসলে উত্তরাখণ্ডের রাজ্য ফুল। প্রসঙ্গত, কেদারনাথ পুজো দেওয়ার সময় মোদির সাজসজ্জার অংশ হিসেবে দেখি গিয়েছিল এই ব্রহ্মকমল।
এছাড়াও প্রজাতন্ত্রে দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর গলায় দেখা গেল মনিপুরি (Manipur) চাদর। যা আসলে মনিপুরের বাসিন্দাদের পোশাক সংস্কৃতির অংশ। মনিপুরে এই ধরনের স্টোলকে বলা হয় ‘লেইরুম ফেই’। সাদা, কালো ও লাল রঙের সামঞ্জস্যে তৈরি প্রধানমন্ত্রীর পোশাকেও ছিল মনিপুরি ঐতিহ্যের ছোঁয়া। মুখে দেখা গেল ‘গামছা’ মাস্ক।
[আরও পড়ুন: পরাক্রমের ‘ফ্লাইপাস্ট’, দিল্লির আকাশে ক্ষমতা দেখাল ৭৫ যুদ্ধবিমান ও কপ্টার]
৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরখণ্ডের ঐতিহ্যবাহী টুপি পরায় টুইট করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। পুষ্কর সিং ধামি লেখেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী ৭৩ সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ব্রহ্মকমলে সজ্জিত উত্তরাখণ্ডের ঐতিহ্যবাহী টুপি পরায় নিজেদের গর্বিত মনে করছে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডবাসী। ১.২৫ কোটি উত্তরাখণ্ডবাসীর হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই।”
গত বছর মোদির মাথায় ছিল ‘হালারি পাগ’। সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পরার জন্য যে পাগড়ি উপহার দিয়েছিল জামনাগরের রাজ পরিবার। ওই পাগড়ির সঙ্গে মোদির পরনে ছিল ধূসর রঙের জ্যাকেট, ক্রিম রঙের শাল। এর আগের বছরগুলিতেও সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মোদির পোশাকে ছিল বৈচিত্র।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা সবাই রাজা…’, প্রথমবার সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অটোচালক, সাফাই কর্মীরা]
বুধবার সকালে সকলকে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ”আপনাদের সকলকে সাধারণতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভ কামনা। জয় হিন্দ।” সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি লেখেন, ”সকলকে ৭৩তম সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা। ভারতীয় সাধারণতন্ত্রের গর্ব, একতা ও অখণ্ডতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে নিজেদের সর্বস্ব অর্পণ করা সমস্ত জওয়ানকে প্রণাম জানাই। আসুন আমরা সবাই স্বাধীনতার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করার সংকল্প করি। জয় হিন্দ।”