সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাল নাম অ্যাম্বারগ্রিজ। চলতি কথায় তিমির বমি (Whale Vomit)। হ্যাঁ, শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক, অতিকায় তিমি মাছের মুখনিঃসৃত মোমজাতীয় এই পদার্থের দাম আকাশছোঁয়া। আর তা চোরাচালান করতে গিয়েই উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ধরা পড়ল তিন চোরাচালানকারী। জানা গিয়েছে ৪.১২ কেজি অ্যাম্বারগ্রিস ছিল তাদের কাছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যার মোট মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা!
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তরফে টুইটারে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিষিদ্ধ বন্য জীব সংরক্ষণ আইনের অধীনে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪.১২ কেজি অ্যাম্বারগ্রিস, যার মূল্য় প্রায় ১০ কোটি টাকা, তা পাচার করার অভিযোগে।’
[আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন হাসিনার, উত্তরসূরিদের জন্য ঘোষণা ছাত্রবৃত্তির]
ঠিক কী এই অ্যাম্বারগ্রিজ? কেনই বা তার এমন আকাশছোঁয়া দাম? আসলে তিমির অন্ত্রে জমে থাকা মোমজাতীয় জমাট এই পদার্থ, যা বমি হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয় অতিকায় স্তন্যপায়ী প্রাণীটি, তা প্রসাধনী অর্থাৎ সাজগোজের জিনিস তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। তৈরি হয় সুগন্ধী পারফিউমও। এছাড়া প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এর অসীম গুরুত্ব। তাই সব মিলিয়েই বাজারে তুঙ্গে রয়েছে এর চাহিদা।
আর তাই বারবার প্রকাশ্যে এসেছে এই ধরনের চোরাচালানের ঘটনা। গত জুলাইয়ে ২৮ কোটি টাকার অ্যাম্বারগ্রিজ ধরা পড়ে কেরলে। কয়েকজন মৎস্যজীবী তাদের ধরেছিলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রশংসাও পেয়েছিলেন তাঁরা। গত বছর মুম্বই পুলিশ জানিয়েছিল তিমির বমি বিক্রি হয় প্রাত ১ কোটি টাকা কেজি দরে।