সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: পরনে সাদা-সোনালি রংয়ের কেরালা কটনের শাড়ি। চোখে চশমা। দূর থেকে এক ঝলকে দেখলে ইন্দিরা গান্ধী বলে ভ্রম হতে পারে। বৃহস্পতিবার সাংসদ পদে শপথ নিলেন কেরলের ওয়ানড় থেকে জিতে আসা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। তিনিও দাদা রাহুল গান্ধীর মতোই সংবিধানের 'রেড বুক' হাতে নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করলেন।
প্রায় ২ দশক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতির ময়দানে থাকলেও এই প্রথম সরাসরি ভোট রাজনীতিতে নেমেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। দাদা রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা কেরলের ওয়ানড় আসন থেকে লোকসভার লড়াইয়ে নামেন তিনি। বলা বাহুল্য, ওয়ানড়বাসী ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কাকে। প্রথমবার ভোট ময়দানে নেমেই দাদা রাহুলের জয়ের ব্যবধানকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানড় থেকে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জেতেন রাহুল গান্ধী। সেখানে প্রিয়াঙ্কা জিতেছেন ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে। কেরলবাসীর এই সমর্থনকে সম্মান জানাতেই সম্ভবত প্রিয়াঙ্কা শপথ নিলেন কেরলের বিখ্যাত কেরালা কটনের শাড়ি পড়ে। এই শাড়িটি কাসাভু শাড়ি নামে পরিচিত।
প্রিয়াঙ্কার শপথের সময় তাঁর হাতে ছিল সংবিধানের 'রেডবুক'। রাহুল গান্ধীও একইভাবে সংবিধানের রেড বুক হাতে নিয়েই সাংসদ পদে শপথ নেন। আসলে ‘সংবিধান বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে লোকসভায় সাফল্য এসেছিল। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্ব থেকে রাহুল গান্ধী প্রায় প্রতিটি সভায় একটি সংবিধানের ‘রেড বুক’ নিয়ে ভাষণ দেন। এবার প্রিয়াঙ্কাও সেই রীতি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রিয়াঙ্কার শপথের ফলে সংসদে একসঙ্গে প্রবেশ করছেন কংগ্রেসের ৩ গান্ধী। রাহুল গান্ধী রায়বরেলি থেকে সাংসদ হিসাবে লোকসভায় রয়েছেন। প্রিয়াঙ্কাও ওয়ানড় থেকে জিতে সংসদে এলেন। প্রথমবার ভাই-বোন একসঙ্গে লোকসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করবেন। সোনিয়া গান্ধী আগেই রাজ্যসভায় গিয়েছেন।
এদিন প্রিয়াঙ্কার শপথের পরই অবশ্য সংসদ অধিবেশন স্থগিত হয়েছে। আদানি ইস্যুতে আগের দুদিনের মতো এদিনও হট্টগোল বাধায় বিরোধী শিবির। শেষ পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষই মুলতুবি করে দিতে হয়।