সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনা চাইলে আরও অনেক কিছুই করতে পারত। কিন্তু তারা সংযত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রবিবার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে এ কথা বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
সদ্য কাজ শেষ হওয়া ১২৫টি পরিকাঠামোমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন রাজনাথ। সেই অনুষ্ঠান থেকে রাজনাথ জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযানের সময় সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যে সমন্বয় দেখা গিয়েছিল, তা অভূতপূর্ব। এই সমন্বয়ই ভারতের পরিচিতি বলেও মন্তব্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর পরেই রাজনাথ বলেন, "আমরা চাইলে আরও অনেক কিছুই করতে পারতাম। আমাদের বাহিনী শুধু বীরত্বই দেখায়নি, সংযমও দেখিয়েছে। যা প্রয়োজন ছিল, তা-ই করেছে।"
রাজনাথ জানান, সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত হওয়ার কারণেই সফল হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। ভাল রাস্তাঘাটের কারণেই সীমান্তে তৎক্ষণাৎ সমস্ত রকমের 'লজিস্টিক সাপোর্ট' দিয়ে বাহিনীকে সাহায্য করা সম্ভব হয়েছিল অপারেশনের সময়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "শুধু রাস্তাঘাটই নয়, রিয়েল-টাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্যাটেলাইট সহায়তারও সুবিধা রয়েছে। সীমান্তে মোতায়েন থাকা সেনাদের কাছে প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থাই হল তাঁদের নিরাপত্তার মেরুদণ্ড।" রাজনাথের সংযোজন, "যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শুধু পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হিসাবে দেখা উচিত নয়। এটা অনেক বড় বিষয়। সমাজে শান্তি এবং সম্প্রীতি রক্ষার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ভীষণ ভাবে জরুরি।"
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছিল। ওই ঘটনার পরেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে মোট ন'টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এই অভিযানের নামই অপারেশন সিঁদুর। ভারতীয় সেনার এই অভিযানের পরেই ভারতে হামলা চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনাও প্রত্যাঘাত করে। প্রায় তিন দিন ধরে সীমান্তে এই টানাপড়েনের পর সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দু'দেশ। এখনও সেই অবস্থাই জারি রয়েছে।
