সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিষ্টি যুদ্ধ শেষে জয় এসেছে। কলিঙ্গকে হারিয়ে রসগোল্লার অধিকার পেয়েছে বঙ্গ। ফলে একদিকে মিষ্টিমুখ। অন্যদিকে হতাশা। কিন্তু এখনও হাল ছাড়তে নারাজ জগন্নাথভূমের মানুষরা। এবার নিজেদের রসগোল্লার জিআই ট্যাগের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তাঁরা।
[ বাড়িতেই বানাবেন রসগোল্লা? থাকল সহজ নিয়ম ]
রসগোল্লা তুমি কার? এই প্রশ্নেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিল বাংলা ও ওড়িশা। এমনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীন পট্টনায়কের সম্পর্ক বেশ ভাল। ওড়িশাকে বাংলার মানুষ প্রায় নিজেদের জায়গা বলেই মনে করেন। পুরীতে প্রতিদিন কাতারে কাতারে ভিড় জমান বাঙালিরা। তাছাড়া চৈতন্যদেব সংযোগের জন্য পুরীর সঙ্গে খানিকটা নাড়ির টানও অনুভব করেন বাঙালিরা। কিন্তু পাত থেকে রসগোল্লা উধাও হয়ে যাবে, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি বাংলার মানুষ। ফলে ডকুমেন্টেশনের পালা। কেন ওড়িশার রসগোল্লার দাবি ঠিক নয়, তা তুলে ধরা হয়। ক্ষীরমোহন আর নবীন চন্দ্র দাশের সৃষ্টির মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা প্রমাণ করতে অসুবিধা হয়নি। ফলে জিআই ট্যাগ পেয়েছে বাংলার রসগোল্লাই। অর্থাৎ রসগোল্লা বাংলারই।
এপারে যখন জয়োল্লাস, তখন পড়শি রাজ্যে খানিকটা হতাশা গ্রাস করেছিল ঠিকই। তবে সূত্রের খবর, এখনও হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। কলিঙ্গের ক্ষোভ, বিক্ষোভ কিছুই গোপন থাকেনি। বাংলার মানুষ যদিও সানন্দে বলেছে, রসগোল্লার স্বাদ নিতে ওড়িশাবাসীকে তাঁরা সাদরে আহ্বান করছেন। কিন্তু স্বত্ব ছাড়বেন না। এদিকে শুধু স্বাদের আহ্লাদে ভোলার পাত্র নয় ওড়িশাবাসী। তাঁদের দাবি, বাংলা যে জিআই পেয়েছে তা বাংলার রসগোল্লার জন্য। নির্দিষ্ট ভৌগলিক পরিধিতে তৈরি কোনও বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পণ্যকেই জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ দেওয়া হয়। বাংলার রসগোল্লা সে ট্যাগ পেয়েছে। কিন্তু তা বাংলার রসগোল্লাই। তার কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন তা সাদা রঙের হবে। স্পঞ্জি ও হালকা রসের হবে। এই হল বাংলার রসগোল্লা। এবার থেকে পৃথিবীর যেখানেই এই ধরনের রসগোল্লা বিক্রি হবে, সেখানে লিখে দিতে হবে যে এটি বাংলার রসগোল্লা। রপ্তানি করার ক্ষেত্রেও সেখানে রাজ্যের বিশেষ সুবিধা হবে। বাংলার জন্য তা সুসংবাদ।
[ কোন পথে জয়যাত্রা শুরু হল বাংলার রসগোল্লার? ]
সে তো হল। কিন্তু ওড়িশাবাসী বলছে, তাঁদের রসগোল্লার তো আলাদা বৈশিষ্ট্য। সামগ্রিকভাবে রসগোল্লায় তো আর বাংলার একচ্ছত্র আধিপত্য ঘোষণা করা হয়নি। অতএব বাংলার রসগোল্লা নিয়ে বাংলা থাকুক। ওড়িশার রসগোল্লা নিয়ে ঝাঁপাক কলিঙ্গবাসী। Opindia.com –এর খবর মোতাবেক, রসগোল্লার মালিকানা পায়নি বাংলা। বরং বাংলার নিজস্ব রসগোল্লা স্বতন্ত্র স্বীকৃতি পেয়েছে। সূত্রের খবর, ওড়িশার রসগোল্লা নামে জিআই পেতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবীন পট্টনায়েকের প্রশাসন।
[ রসগোল্লা ‘জাতে’ উঠেছে, কম যায় না বাংলার বাকি মিষ্টিগুলিও ]
The post হাল ছাড়া নয়, রসগোল্লার নতুন জিআই ট্যাগের জন্য ঝাঁপাচ্ছে ওড়িশা appeared first on Sangbad Pratidin.