সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিতে এবার ময়দানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সংখ্যালঘু শাখা। এই আইনকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ও মুসলিমদের ভালোর জন্য আনা হয়েছে বলে দাবি করে ১০০টি সাংবাদিক বৈঠক ও ৫০০ সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে দেশজুড়ে। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের দাবি, এতদিন মুসলিম সমাজের বহু মানুষ ওয়াকফের সম্পত্তি নয়ছয় করতেন। সেই অপব্যবহার আটকাতেই মুসলিমদের ভালোর জন্যই আনা হয়েছে এই আইন।

গত ৫ এপ্রিল মধ্যরাতে রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে মাত্র ৩দিনে আইনে পরিণত হয়েছে ওয়াকফ বিল। বিজেপির দাবি ছিল, এই বিল আইনে পরিণত হলে কোটি কোটি প্রান্তিক মুসলিম সমাজ উপকৃত হবেন। এতদিন ধরে গুটিকয়েক প্রভাবশালীর হাতে কুক্ষিগত ওয়াকফ সম্পত্তি মুক্ত হবে এবং সাধারণ মুসলিমরা উপকৃত হবেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই বিল পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এটা আসলে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ। শুধু তাই নয়, ওয়াকফ বোর্ডে কেন অমুসলিম সদস্য রাখা হবে তা নিয়েও প্রতিবাদে সরব হয়েছে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ। ইতিমধ্যেই এই আইনকে আটকাতে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। বিলটি আইনে পরিণত হলেও সেই আইন লাগু করার আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেই এবার আরএসএসের মুসলিম শাখাকে কাজে লাগিয়ে আইনের সমর্থন আদায়ে মাঠে নামল আরএসএস।
এ প্রসঙ্গে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের শীর্ষ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, এই আইনকে নিয়ে দেশজুড়ে যে গুজবের শিকড় ছড়াতে শুরু করেছে তা উপড়ে ফেলাই আমাদের লক্ষ্য। সেই জন্য দেশজুড়ে ১০০টি সাংবাদিক বৈঠক ও ৫০০ সেমিনারের আয়োজন করতে চলেছি আমরা। যেখানে মানুষকে বোঝানো হবে এই আইনের ফলে মুসলিম সমাজের মানুষ কীভাবে উপকৃত হবেন। মুসলিম সমাজের আত্মসম্মান, ন্যায় ও সমানাধিকার নিশ্চিত করবে এই আইন। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ তথা ওয়াকফ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন, দেশের মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা। নতুন ওয়াকফ আইন মুসলিম সমাজের ভালোর জন্য আনা হয়েছে। সম্পত্তি বেহাত হওয়ার সব রাস্তা নতুন আইনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাংসদের আরও দাবি, এই আইন মুসলিমদের ধর্মাচরণে হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভুল।