সুদীপ রায়চৌধুরী: নেতাজিতে থাকলেও মহাত্মা গান্ধী নিয়ে দূরত্ব বজায় রাখার অবস্থানে স্থির থাকল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
৩০ জানুয়ারি গান্ধী হত্যার দিনটিকে দেশে শহিদ দিবস (Shahid Dibas) হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ওইদিন স্বাধীনতা সংগ্রামের শহিদদের স্মৃতিতে ২ মিনিট নীরবতা পালন করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। তারপরও ২৩ জানুয়ারি নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) প্রকাশ্য সমাবেশ করলেও গান্ধীজির শহিদ দিবসে সংঘের কোনও কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন ক্ষেত্রীয় সংঘচালক অজয় নন্দী। তাঁর কথায়, এটি কেন্দ্রের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: ‘বাকি আর ৪০০ দিন, ভোটারদের কাছে পৌঁছতে হবে’, লোকসভার দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদি]
এবছরও নেতাজি জন্মদিন বিশেষ সমারোহ করে পালন করছে কেন্দ্র। আরএসএসও (RSS) দেশজুড়ে ২৩ জানুয়ারি মহা সমারোহের সঙ্গে পালন করতে চলেছে। যার মধ্যে কলকাতায় শহিদ মিনার ময়দানে ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ কর্মসূচিতে প্রকাশ্য সমাবেশ করবেন ভাগবত। এদিন প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে অজয়বাবু জানান, পাঁচদিনের রাজ্য সফরে আজ বুধবার কলকাতায় পা রাখছেন ভাগবত। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। যার অন্যতম ১৯ তারিখ নিউ টাউনে বাংলা-সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমন্ত্রিত বিশিষ্ঠজনদের সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে আমন্ত্রিতদের মধ্যে শহরের তিন বিখ্যাত ধ্রুপদী শিল্পী অজয় চক্রবর্তী, তেজেন্দ্রনারায়ন মজুমদার ও রশিদ খান আছেন বলে খবর। অতীতে এই তিন শিল্পীর বাড়ি গিয়েছিলেন ভাগবত। জানা গিয়েছে, পাঁচদিন থাকলেও এবার রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতাদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করবেন না ভাগবত।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টির হাত ধরে রাজ্যে শীতের আমেজ, জেনে নিন আজ ভিজবে কোন কোন জেলা]
সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির কোন্দল নিয়ে বিরক্ত সংঘ। তাই রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহী নন ভাগবত। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতা মহানগরের প্রচার প্রমুখ যথাক্রমে বিপ্লব রায় ও শুভ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এই প্রথম প্রথা ভেঙে এদিন প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করল আরএসএস। এ প্রসঙ্গে অজয় নন্দীর বক্তব্য, কেশব ভবন (Keshab Bhavan) নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। তাই কলকাতা প্রেস ক্লাবে করতে হল।