সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) মচ্ছু নদীতে কেবল ব্রিজ (Cabel Bridge) বিপর্যয়ের জন্য কি দুর্নীতি দায়ী? গত সাত মাস ধরে কয়েক কোটি টাকা খরচে মেরামতি হয়েছিল সেতুর। তারপরেও দুর্ঘটনা কেন? বিজয় গোস্বামী অন্য অভিজ্ঞতা জানালেন। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা বিজয় দিওয়ালির ছুটিতে পরিবার নিয়ে রবিবার অভিশপ্ত ব্রিজ চাক্ষুষ করতে এসেছিলেন। দুর্ঘটনার কিছু আগে। তিনি বলেন, “তখন বিপুল ভিড় ব্রিজে। তার মধ্যে একদল যুবক ব্রিজটিকে প্রাণপনে ঝাঁকাচ্ছিল। ফলে বিপজ্জনক ভাবে দুলছিল গোটা ব্রিজ। আমার মনে হচ্ছিল, খারাপ কিছু ঘটতে পারে। একথা ভেবে ব্রিজের মাঝপথ অবধি গিয়েও ফিরে আসি। আমার আশঙ্কাই পরে সত্যি হয়।”
মচ্ছু নদীর ব্রিজ বিপর্যয়ে শিশু ও মহিলা-সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪১। এখনও চলছে নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ। ঘটনার ভয়াবহতা সামনে এসেছে বেশ কিছু ভিডিও মারফত। যেখানে দেখা গিয়েছে কীভাবে আচমকা নদীতে ছিঁড়ে পড়ল কেবল ব্রিজটি। তখনই অসংখ্য মানুষের মরণ চিৎকার! যদিও অনুমান শক্তি ও সঠিক সিদ্ধান্তের জোরে বেঁচে যান বিজয় গোস্বামী ও তাঁর পরিবার। বিজয় জানান, ব্রিজটিকে দেখতেই পরিবার নিয়ে এসেছিলেন ওই এলাকায়। কিন্তু পুরো সেতু ডিঙোনোর সাহস করেননি। যেহেতু দেখেন, একদল যুবক মজার ছলে বিপজ্জনক ভাবে দোলাচ্ছে সেতুটিকে।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের]
বিজয় বলেন, “তখনই মনে হচ্ছিল খারাপ কিছু ঘটতে পারে। দ্রুত পরিবার নিয়ে ব্রিজ থেকে নেমে আসি।” বিজয়ের দাবি, “দুর্ঘটনা এড়ানো যেতো।” তিনি জানান, ব্রিজ থেকে নেমে আসার সময় সেতু দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বিপজ্জনক ভাবে সেতু দোলানোর বিষয়টি জানাই। ওঁরা টিকিট বিক্রি করতে ব্যস্ত ছিলেন। আমার কথায় বিন্দু মাত্র পাত্তা দেননি”। উল্টে আমাকে বলা হয়, বিপুল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
[আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু দুর্ঘটনায় বড় বিপর্যয়ের মুখে বিজেপি সাংসদ, পরিবারের ১২ সদস্যের মৃত্যু]
বিজয় গোস্বামী ও তাঁর পরিবার ব্রিজ থেকে নেমে আসার ঘণ্টা খানেক পরে সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ ব্রিজটি কয়েকশো মানুষ সমেত ভেঙে পড়ে মচ্ছু নদীতে। যে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। আহত অসংখ্য। তাদের গুজরাটের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।