সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বুধবার মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ইসরোর (ISRO) সাফল্যে গোটা দেশে উৎসবের আমেজ। যুগান্তকারী সাফল্যের পর রবিবার কেরলের (Kerala) তিরুঅনন্তপুরমের পূর্ণমিকাভু ভদ্রকালী মন্দিরে পুজো দিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath)। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই অভিযান শুরুর আগেও চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনায় পুজো দিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। যার পর যুক্তিবাদী বিজ্ঞানের সাধনায় দেবতার আরাধনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এদিন সপাটে তাঁর উত্তর দিলেন সোমনাথ। জানালেন, বিজ্ঞানের বাইরের বিষয়, মন্দির অন্তরের। উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই।
রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, “আমি একজন অভিযাত্রী। চাঁদকে অন্বেষণ করেছি। অন্তরাত্মারও অনুসন্ধানী আমি। বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা দুয়ের অন্বেষণ করা আমার জীবনের ব্রত। তাই বহু মন্দির যেমন দর্শন করি, তেমনই অনেক ধর্মগ্রন্থ পড়ি।” আরও বলেন, “মহাবিশ্বে মানুষের অস্তিত্ব এবং তার যাত্রাপথের অর্থ খুঁজছি আমি। এই মহাঅন্বেষণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। একইসঙ্গে অন্তরাত্মা এবং বহির্জগতের অন্বেষণ। অতএব, বাইরের অন্বেষণে বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল, অন্তরাত্মার খোঁজে মন্দিরে আসি আমি।”
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে ‘হিন্দুত্ব’ আবেগে শান, বঙ্গে বিজেপির হাতিয়ার পুজোয় ‘রাম মন্দির’]
বুধবার চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করেছিল ভারতের বিক্রম। তিনদিন পর শনিবার ওই ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ইসরোর ‘টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্স’ থেকে মোদি জানান, যে জায়গায় চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম নেমেছিল তার নাম ‘শিবশক্তি’ রাখা হয়েছে। চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার যেখানে আছড়ে পড়েছিল সেই জায়গার নাম ‘তিরঙ্গা পয়েন্ট’ রাখা হল। ‘শিবশক্তি’ নামকরণ নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই বিষয়েও এদিন উত্তর দেন এস সোমনাথ। তিনি বলেন, দু’টিই ভারতীয় শব্দ। এই নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন।