সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির মার্গদর্শক এলকে আডবানীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোয় নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে অবশেষে এর জবাব দিলেন তিনি। তুলে ধরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর কালো অধ্যায়। একইসঙ্গে জানালেন, 'কোনও একটি ঘটনাকে হাতিয়ার করে একজন মহান ব্যক্তিকে বিচার করা উচিত নয়।'
গত শনিবার ৯৮ বছরে পা দিয়েছেন আডবানী। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান শাসকদলের সব শীর্ষ নেতৃত্ব। বাদ ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শশী লেখেন, 'আডবানী একজন প্রকৃত দেশনায়ক। তাঁর জনসেবা, নম্রতা এবং সততার প্রতি তাঁর নিষ্ঠা দেশের জন্য অনুপ্রেরণা।' শশীর তরফে আডবানীর এই প্রশংসা বিতর্কের জন্ম দেয়। এক্স হ্যান্ডেলে শশীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে। তিনি লেখেন, 'দুঃখিত, মিঃ থারুর। কিন্তু এই দেশে ঘৃণার বীজ বপন করাকে জনসেবা বলা যায় না।'
আইনজীবীর এহেন মন্তব্যের পালটা নেহরু ও ইন্দিরার কালো অধ্যায় টেনে শশী লেখেন, 'চিনের বিরুদ্ধে পরাজয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গোটা রাজনৈতিক জীবনকে বিচার করা যায় না। একইভাবে শুধুমাত্র জরুরি অবস্থা দিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে বিচার করা ঠিক নয়। ফলে আডবানীর ক্ষেত্রেও আমাদের একই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে। কেবলমাত্র একটি ঘটনাকে হাতিয়ার করে একটা মানুষের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে বিচার করা পুরোপুরি ভুল পদক্ষেপ।'
হেগড়ে মূলত ১৯৯০ সালে লালকৃষ্ণ আডবানীর নেতৃত্বে রাম রথযাত্রার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যেখান থেকে নয়া দিশা পেয়েছিল রামমন্দির আন্দোলন। হেগড়ে লেখেন, 'এই যাত্রা ছিল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলিকে পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা, যার সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব আজও দৃশ্যমান।' উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুজরাটের সোমনাথ থেকে রাম রথযাত্রা শুরু হয়ে অযোধ্যায় পৌঁছানোর কথা ছিল। সেই মতো আডবানীর নেতৃত্বে শুরু হয় এই যাত্রা। কিন্তু বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব তা বন্ধ করে দেন এবং আডবানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর দুই বছর পর, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ।
