সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিএসটি বা গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স দেশের অর্থনীতিকেই আমূল বদলে দিয়েছে। আগামীদিনে ভারতে জিএসটি-র সফল প্রয়োগ বিশ্বের কাছে গবেষণা বিষয় হবে। মন কী বাত অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[‘বন্দে মাতরম’ গাইতে না চাইলে দেশদ্রোহী বলা যাবে না, নকভির মন্তব্যে বিতর্ক]
গত ২৯ জুন মধ্যরাত থেকে সারাদেশ এই জিএসটি চালু করেছে মোদি সরকার। মন কী বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাসের মধ্যেই জিএসটি-র সুফল মিলতে শুরু করেছে। সারা দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমেছে। ব্যবসায়ীদের উপর ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য পরিবহণও এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরিব মানুষ তাঁকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, জিএসটি চালু হওয়ার পর তাঁদের জীবনযাপন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। তাতে তিনি খুবই খুশি হয়েছেন। এদিন জিএসটি চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিনের মন কী বাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, লাগাতার বৃষ্টিতে বহু রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র। সব রাজ্যকেই সাহায্য করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে খোলা হয়েছে হেল্পলাইন। প্রসঙ্গত, লাগাতার বৃষ্টি ও ডিভিসি থেকে জল ছা়ড়ার ফলে রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মোদির নিজের রাজ্য গুজরাট, রাজস্থান ও অসমেও বন্যায় গৃহহীন হয়েছেন বহু মানুষ।
এদিন মন কী বাত অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা আন্দোলনে আগস্ট মাসের গুরুত্বের কথাও দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগস্ট মাসেই দেশে দুটি ঐতিহাসিক আন্দোলন হয়েছিল। ১৯২০ সালের ১ আগস্ট ইংরেজদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ১৯৪২ সালে ৯ অগাস্ট শুরু হয়েছিল ভারত ছাড়ো আন্দোলন এবং ১৯৪৭ সালে ১৫ অগাস্ট দেশ স্বাধীন হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অসহযোগ আন্দোলন ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী, জয়প্রকাশ নারায়ণ, রাম মনোহর লোহিয়ার ভূমিকার কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু, অনেকেই জানেন না, ভারত ছাড়ো স্লোগানটির প্রবক্তা হলেন ইউসুফ মেহের আলি।’ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘এখন আর দেশের মৃত্যুবরণ করার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং দেশের জন্য আমাদের সকলকে বাঁচতে হবে। দেশকে উন্নতির নয়া শিখরে পৌঁছে দিতে হবে।’
এদিন বিশ্বকাপে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই জিতলে না পারলে, কেউ ভাল খেলার কদর করে না। তবে সারা দেশ যে ভাবে মহিলা ক্রিকেট দলকে সমর্থন করেছে, তা থেকে স্পষ্ট মানসিকতায় বদল এসেছে।
[এসি কামরায় যাত্রীদের আর কম্বল দেবে না রেল!]
The post ‘ভারতে GST-র সফল প্রয়োগ বিশ্বের কাছে গবেষণার বিষয় হবে’ appeared first on Sangbad Pratidin.