সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধী নেতানেত্রীদের হেনস্তা করার অভিযোগে আগেই সরব হয়েছিল কেন্দ্র বিরোধী দলগুলি (Opposition parties)। এবার সেই অভিযোগ নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল ১৪ বিরোধী দল। ইডি, সিবিআইয়ের ‘অপব্যবহার’, বিরোধী নেতাদের আচমকা গ্রেপ্তার – এসব নিয়ে শুক্রবার মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। গ্রেপ্তারির আগে-পরে কেন্দ্রীয় সংস্থার কী কী নিয়মকানুন রয়েছে, তাও বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী ৫ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবে।
১৪ বিরোধী দলকে এ বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), ডিএমকে, আরজেডি, বিআরএস-সহ বিজেপি বিরোধী বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই সব কটি দলের প্রতিনিধিদেরই ইডি বা সিবিআই জেরার মুখে পড়তে হয়েছে এবং তাদের হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট দল। বৃহস্পতিবারই ‘মোদি’ পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে জেলের সাজা শোনানো হয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁর জামিন হয়।
[আরও পড়ুন: প্যান-আধার সংযোগ না করলেও হবে? কাদের জন্য প্রয়োজ্য, জেনে নিন খুঁটিনাটি]
অন্যদিকে, জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে দীর্ঘ সময় ধরে ইডির জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল আরজেডি (RJD) নেতা তথা বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে। জিজ্ঞাসাবাদে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। আবার তেলেঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি অর্থাৎ কেসিআরের মেয়ে কে কবিতাকে দিল্লির ইডি দপ্তরে একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এছাড়া বাংলায় তৃণমূল সরকারের একাধিক প্রতিনিধিকে ইডি (ED), সিবিআই জেরা চলছেই। বিরোধীদের অভিযোগ, ইডি, সিবিআইকে (CBI)এভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্রই। লাগাতার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতহীন বীরভূমে নজর নেত্রীর, কালীঘাটে আজ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক]
এসব ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুক্রবার ১৪ বিরোধী দলের তরফে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানতে চান, ইডি বা সিবিআই কাউকে গ্রেপ্তার করার আগে এবং পরে কী কী নিয়মকানুন রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, যে যে বিষয় নিয়ে মামলা চলছে, তাতে তাঁরা হস্তক্ষেপ করতে একেবারেই চাইছেন না, কিন্তু গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে। বিরোধী অর্থাৎ ৪২ শতাংশের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। এ নিয়ে মহামান্য আদালত কিছু করুন। তাঁর আবেদন মেনে মামলাটি গৃহীত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ৫ এপ্রিল শুনানি।